বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য ‘সুপার ব্লাড মুন’ দেখল বিশ্ব

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৯

আকাশে চাঁদের অনন্য এক রূপ দেখেছেন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার ভেতর দিয়ে অতিক্রম করেছে। পূর্ণিমার সঙ্গে গত রোববার রাতে হয়েছে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, যা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দেখা গেছে। এ চাঁদকে বলা হচ্ছে ‘সুপার ব্লাড মুন’, যা সাধারণ সময়ের তুলনায় আকারে বড়, আর উজ্জ্বলতায় বেশি। এ সময় সূর্য দর্শকের পেছনে অবস্থান করার ফলে চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ায় চলে যায়, যা দেখতে লালচে হয়। গত রোববার রাতে এমনই বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা গেল। পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে, তখন চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়ে। এ অবস্থাকে চন্দ্রগ্রহণ বলে। মেঘমুক্ত আকাশে খালি চোখেই মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য দেখা গেছে।বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে গত রোববার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে। কোথাও কোথাও থেকে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, জাপান, পাকিস্তান, রাশিয়া, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব আফ্রিকা এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলো থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে।গত রোববার রাতে টানা ৮২ মিনিট পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ স্থায়ী হয়। ২০২২ সালের পর এটিই দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।উত্তর আমেরিকার দেশগুলো থেকে রোববার চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়নি। আর আলাস্কার সুদূর পশ্চিমাঞ্চল থেকে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে।চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। গুহাজীবন থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ যুগেও চাঁদ তার মায়াবী আলোয় মুগ্ধতা ছড়ায়। কবিতা, বিজ্ঞান, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে হাজার বছর ধরে স্বপ্নজাল বুনে গেছে পৃথিবীর এ উপগ্রহটি। ধর্ম-সংস্কৃতিসহ নানা আবহের মধ্যেও জড়িয়ে আছে চাঁদ।পূর্ণিমার ঝলমলে রুপালি আলোর স্নিগ্ধতা মানুষের মনে ভিন্নরকম এক আবহ তৈরি করে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঢাকায় রাত ৯টা ২৭ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়। রাত ১০টা ২৭ মিনিটে আংশিক গ্রহণ শুরুর পর চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যেতে থাকে। পূর্ণগ্রাস শুরু হয় রাত ১১টা ৩০ মিনিটে, যা চলে রাত ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ার আওতায় চলে আসে। তখন এটি লালচে বা তাম্রবর্ণ ধারণ করে। ১২টা ১১ মিনিটে গ্রহণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। সবশেষে রাত ২টা ৫৫ মিনিটে গ্রহণ শেষ হয়।যখন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হয়, তখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যাওয়া সূর্যের আলোর নীল অংশটি বিচ্ছুরিত হয়ে যায়। কিন্তু লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় তা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে চন্দ্রপৃষ্ঠে গিয়ে পড়ে। ফলে চাঁদকে দেখতে লালচে বা তামাটে মনে হয়। এ রক্তিম বর্ণের কারণেই একে ‘ব্লাড মুন’ বলা হয়। বিজ্ঞানীরা জানান, যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় অবস্থান করে এবং পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে। ফলে চন্দ্রগ্রহণ হয়। পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে পুরোপুরি ঢেকে দিলে তাকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলে।ঢাকায় ব্লাড মুন অবলোকনে ছিল নানা আয়োজন। ঢাকার কলাবাগান ক্রীড়া চক্র মাঠে বিশেষ আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এখানে আগ্রহীরা টেলিস্কোপ দিয়ে চন্দ্রগ্রহণ উপভোগ করেন। এছাড়া জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর বিজ্ঞান বক্তৃতা ও টেলিস্কোপ দিয়ে চন্দ্রগ্রহণ দেখার আয়োজন করেছিল।

এ বিভাগের আরো খবর