বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গুয়ানতানামোর দুর্লভ ছবি

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২২ ২১:০৬

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস সম্প্রতি গুয়ানতানামো কারাগারের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। এই ছবিগুলো আগে কখনই দেখা যায়নি। ৯/১১ হামলার পরপর মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বন্দিদের এই ভাসমান কারাগারে বিচারবহির্ভূতভাবে আটক করা শুরু করে ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ানতানামো কারাগার বন্দিদের ওপর অমানুষিক নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত। এখানে বন্দিদের বিনা বিচারে আটক রাখা হয়, তথ্য আদায়ের লক্ষ্যে বন্দিদের ওপর যৌন অত্যাচার, ‘ওয়াটার বোর্ডিং’-সহ নানা উপায়ে চালানো হয় নির্যাতন। নির্যাতনের প্রকার ও মাত্রা বিবেচনায় এই কারাগারকে ‘মর্ত্যের নরক’ বলেও আখ্যায়িত করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূ-খণ্ডের বাইরে কিউবার দক্ষিণ-পূর্ব পাশে ক্যারিবীয় সাগরে ২০০২ এটির প্রতিষ্ঠা। যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় সংশ্লিষ্ট জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও গুপ্তচর সন্দেহে বিভিন্ন দেশের নাগরিককে এখানে আটক রাখা হয়।

নিরাপত্তা বিবেচনায় কারাগারটিকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ খুব কম মানুষেরই হয়ে থাকে। ভেরকার ছবি তো আরও দুর্লভ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস সম্প্রতি গুয়ানতানামো কারাগারের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। এই ছবিগুলো আগে কখনই দেখা যায়নি। ৯/১১ হামলার পরপর মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বন্দিদের এই ভাসমান কারাগারে বিচারবহির্ভূতভাবে আটক করা শুরু করে ওয়াশিংটন।

তথ্যের স্বাধীনতা আইন ব্যবহার করে ন্যাশনাল আর্কাইভস থেকে ছবিগুলো সংগ্রহ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। ছবিতে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে আফগানিস্তান থেকে ধরে আনা বন্দিদের প্রথম ব্যাচকে দেখা যায়।

ছবিগুলোতে দেখা যায়, সামরিক বিমানে করে বন্দিদের আনা হচ্ছে সেই নরকে। তাদের সবার পরনে আলোচিত কমলা রঙের পোশাক, মুখ টেপ দিয়ে আটকানো, চোখ বাঁধা। হাতে হাতকড়া, পায়ে শিকল।

টাইমস বলছে, ছবিতে দেখা গেছে একজন সেনাসদস্য চোখ বাঁধা এক বন্দির হাতে আমেরিকার পতাকা ধরিয়ে দিয়েছেন।

ধারণা করা হয়ে থাকে, গুয়ানতানামোতে অন্তত ৭৮০ জন বন্দি ছিলেন, বর্তমানে সে সংখ্যা ৩৭। অনেকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই নেই। ভুল পরিচয়ের কারণে জেল খাটছেন অনেকেই।

মারিকার সিনেটের একটি তদন্ত নিশ্চিত করেছে, আটকদের ওয়াটারবোর্ডে রাখা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাদের সঙ্গে নৃশংস আচরণ করেছিল সিআইএ (আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা)।

বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই নরক বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও, শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর