পুলিশের নিষেধ সত্ত্বেও জোর করে হাওড়ায় যেতে চাইলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার হযরত মুহাম্মদকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে বিক্ষোভে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগে উত্তপ্ত হাওড়ায় শনিবার যেতে চেয়েছিলেন বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তাকে যেতে নিষেধ করেন রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে তাকে সেখানে যেতে দেয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেয়া হয়েছিল।
তবু তিনি হাওড়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয় । এরপর বেলা ২টার দিকে সুকান্ত মজুমদার নিউটনের বাড়ি থেকে জোর করে হাওড়া ডোমজুড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু কলকাতার বিদ্যাসাগর সেতুতে পুলিশ তার গাড়ি আটকে দেয়। সুকান্ত মজুমদার গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যেতে থাকেন । আবার গাড়িতে উঠে টোলপ্লাজার কাছে পৌঁছালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে । সেখান থেকে তাকে পুলিশের হেডকোয়ার্টার কলকাতার লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমাদের সাধারণ কর্মীদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে । আমাকে আটকে দেয়া হয়েছে । আমাদের একজনের হাত ভেঙে গিয়েছে । পুলিশ বর্বর হয়ে গেছে । এই ক্ষমতাটা যদি আগে দেখাতে পারত, তাহলে বাংলার এই অবস্থা হতো না।'
এ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ টুইট করে বলেন, '১৪৪ ধারা ভাঙলে তো গ্রেপ্তার হয়। আমাকে গ্রেপ্তার করুন ।'
শনিবার সকালে হাওড়া উলুবেরিয়া মানসতলায় অগ্নিদগ্ধ বিজেপি কার্যালয় দেখতে গেলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষকে মাঝপথে আটকে দেয় পুলিশ।
শনিবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনকে কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।