হোমওয়ার্ক সময়মতো শেষ না করায় একটি বাড়ির ছাদে হাত-পা বেঁধে শিশুকে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে রেখে দেন তার মা। এ সময় বাঁধনমুক্ত হতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে দেখা গেছে শিশুটিকে।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির খাজুরি খাস এলাকায় সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ২৫ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে পাঁচ বছরের কন্যাশিশুটির করুণ অবস্থা দেখে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, দড়ি দিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধা শিশুটির হাত-পা। বাঁধনমুক্ত হবার আপ্রাণ চেষ্টা করেও কিছুতেই পেরে উঠছে না সে। গ্রীষ্মের দুপুরে তপ্ত সূর্যতাপ আর বাঁধনের যন্ত্রণায় চিৎকার করলেও তা শোনার জন্য আশপাশে কেউ নেই। তপ্ত খোলা ছাদে একলা পড়ে ছটফট করতে দেখা গেছে ছোট্ট শিশুটিকে। ২ জুনের এই ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয় নেটে।
শিশুটিকে কে বা কারা এভাবে বেঁধে রেখেছিল, তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নামে নয়াদিল্লি পুলিশ। ওই মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, হোমওয়ার্ক না করায় পাঁচ বছরের ওই মেয়েটিকে শাস্তি দিয়েছিলেন তিনি।
মেয়েটির মা জানায়, স্কুল থেকে দেয়া হোমওয়ার্ক শেষ করেনি বলে মেয়েকে মাত্র ৫-৭ মিনিটের জন্য ছাদের রোদে ফেলে রেখে শাস্তি দিতে চেয়েছেন তিনি।
দিল্লি পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, মায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেট ব্যবহারকারীদের একাংশ দাবি তুলেছে, এমন অমানবিক আচরণের জন্য শিশুটির মাকে একইভাবে হাত-পা বেঁধে কড়া রোদে ফেলে রাখা হোক, যাতে তিনি শিশুটির কষ্ট অনুভব করতে পারেন।
ওই মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা শেষে কিছু পরামর্শ দেয়ারও দাবি ওঠে সামাজিক মাধ্যমে।