বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রক্ত দেব, তবু বাংলা ভাগ হতে দেব না: মমতা

  •    
  • ৭ জুন, ২০২২ ১৮:৫৫

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘বিজেপি কী করেছে? ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে বন্ধ চা বাগান খুলে দেবে। খুলেছে? শুধু বাংলা ভাগে ইন্ধন দিচ্ছে। কী ভাগ করবে? পাহাড় ভাগ করতে পারবে? কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা, চিলা রায়কে ভাগ করতে পারবে?’

ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি রাজ্য ভাগের চেষ্টায় ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (কেএলওকে) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- ‘রক্ত দেব, তবু বাংলা ভাগ হতে দেব না।’

দুই দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডের কর্মিসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা ভাগ না করলে আমায় মেরে ফেলবে বলছে। আমার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে দেখুক। আমিও জানি, কীভাবে বন্দুকের নল ভোঁতা করে দিতে হয়।’

তৃণমূল নেত্রী মমতার উত্তরবঙ্গ সফরের আগে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএলওর প্রধান কোচবিহারের জীবন সিংহ পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে আবারও সরব হন।

হুমকি দেয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী কামতাপুরে পা রাখলেই তাকে শেষ করে দেয়া হবে।

সোমবার জীবন সিংহ তার গোপন আস্তানা থেকে অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ, কামতাপুরের বাসিন্দাদের ওপর নিপীড়ন-অত্যাচারের মাত্রা ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছে।

আর এ বিষয়ে বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক, নেতা ও মন্ত্রীরা উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবি তুলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএলওকে উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, ‘বিজেপি কী করেছে? ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে বন্ধ চা বাগান খুলে দেবে। খুলেছে? শুধু বাংলা ভাগে ইন্ধন দিচ্ছে। কী ভাগ করবে? পাহাড় ভাগ করতে পারবে? কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা, চিলা রায়কে ভাগ করতে পারবে?

‘আমাদের সরকার কাজ করে। করবেও। আমাদের কাজে কোনো ভুল হলে আমাদেরকেই বলুন। কিন্তু বিজেপি, সিপিএমের কথা শুনে কিছু বিশ্বাস করবেন না।’

এরপর মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। অবশ্য কেএলও প্রধান জীবন সিংহ মমতার এই উন্নয়নের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তারপর লোকসভা ভোট রয়েছে। ফলে বাংলা ভাগের এই জুজু আরও জোরালো হবে।

এ বিভাগের আরো খবর