বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মসজিদে মসজিদে শিবলিঙ্গের সন্ধান কেন, প্রশ্ন আরএসএস প্রধানের

  •    
  • ৩ জুন, ২০২২ ১৬:১৭

মন্দির-মসজিদ নিয়ে ভারতে চলমান বিবাদের বিষয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত নাগপুরের আরএসএসের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্দির পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নামা হিন্দুত্ববাদীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘ইতিহাস আমরা সবাই জানি। কিন্তু ঐতিহাসিক ভুলের প্রতিশোধ কি আজ নেয়া যায়? বিদেশি শক্তি ও শত্রু ভারতে এসে অনেক মন্দির ধ্বংস করেছে, এ কথা সত্যি। তার জন্য আজ দেশের মুসলমানদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় কি?’

ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী ডানপন্থি সংগঠনগুলো বেশ কিছুদিন যাবৎ ভারতের বিভিন্ন মুসলিম স্থাপত্য, বিশেষ করে মসজিদ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তুলছে। এরই মধ্যে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

উত্তর প্রদেশের বারানসিতে জ্ঞানবাপি মসজিদের ভিডিওগ্রাফি নিয়ে আদালতে আইনি লড়াই চলছে।

এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবত আদালত নয়, পারস্পরিক বোঝাপড়ায় সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মন্দির-মসজিদ নিয়ে ভারতে চলমান বিবাদের বিষয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত নাগপুরের আরএসএসের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্দির পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নামা হিন্দুত্ববাদীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘মসজিদে মসজিদে শিবলিঙ্গ খুঁজে বেড়াচ্ছেন কেন?’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাস আমরা সবাই জানি। কিন্তু ঐতিহাসিক ভুলের প্রতিশোধ কি আজ নেয়া যায়? বিদেশি শক্তি ও শত্রু ভারতে এসে অনেক মন্দির ধ্বংস করেছে, এ কথা সত্যি। তার জন্য আজ দেশের মুসলমানদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় কি?’

গত মাসখানেক বারানসির জ্ঞানবাপি মসজিদ, মথুরা শাহি ঈদগাহ মসজিদ নিয়ে স্থানীয় আদালতে কয়েকটি মামলা হয়েছে। বারানসিতে চারজন নারী আদালতে আবেদন করেছেন, জ্ঞানবাপি মসজিদ চত্বরে থাকা গৌরী দেবী শৃঙ্গার মূর্তি পুজো করতে দেয়ার অনুমতি দিতে হবে।

সেই মামলার সূত্র ধরে আদালতের নির্দেশে হওয়া একটি সমীক্ষা চলাকালে শিবলিঙ্গ উদ্ধার হয়েছে বলে হিন্দুত্ববাদীরা দাবি তুলেছেন। তাদের দাবি, ওই শিব লিঙ্গ পূজা করার অনুমতি দিতে হবে। সেই দাবিতেও হয়েছে পৃথক একটি মামলা।

মথুরায় হিন্দুত্ববাদীরা দাবি করেছেন, শাহি ঈদগাহ মসজিদ যে জমির ওপর গড়ে উঠেছে তা ভগবান শিবলিঙ্গের জন্মস্থান। তারা বলছেন, সেখানেও পূজা করার অনুমতি দিতে হবে।

তবে আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত বলেছেন, এমন দাবিদাওয়া বিতর্ক, মামলার সঙ্গে আরএসএসের কোনো সম্পর্ক নেই। আরএসএস এসব আন্দোলন বা উদ্যোগকে সমর্থন করে না।

ভগবত বলেন, ‘একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে আমরা অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার দিনেই আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলাম এই ধরনের কোনো দাবিদাওয়া, বিতর্কে আরএসএস আর যুক্ত থাকবে না।’

তার মতে, আদালতের রায়ই শেষ কথা। তবে এসব বিষয় হিন্দু-মুসলিম মুখোমুখি বসে বিরোধের মীমাংসা করতে পারলেই ভালো।

তিনি বিবাদ সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন তোলেন, রোজ রোজ একটা করে বিবাদ বাধাচ্ছেন কেন? ইসলাম বিদেশি ধর্ম হতে পারে। কিন্তু ভারতীয় মুসলিমরা বিদেশি নন।

কয়েক মাস আগেও এক অনুষ্ঠানে ভগবত বলেন, যারা কথায় কথায় মুসলমানদের পাকিস্তান চলে যেতে বলেন, তারা দেশপ্রেমিক হিন্দু নন।

এদিকে দুই দিন আগে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেছেন, বিজেপি দলগতভাবে শুধু অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। আর কোনো মন্দির-মসজিদ বিবাদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নেই।

এ বিভাগের আরো খবর