যুদ্ধাপরাধের দায়ে দুই রুশ সেনাকে সাজা দিয়েছে ইউক্রেনের আদালত। দুইজনকে সাড়ে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে কোটেলেভস্কা জেলা আদালতের বিচারক।
দণ্ড পাওয়া রুশ সেনারা হলেন, আলেকজান্ডার ববিকিন ও আলেকজান্ডার ইভানভ। তাদের বিরুদ্ধে পূর্ব ইউক্রেনের একটি শহরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গোলা নিক্ষেপের অভিযোগ গত সপ্তাহে প্রমাণ হয়।
বেলগোরোড অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলে হামলা চালানো আর্টিলারি ইউনিটের সদস্য ছিলেন তারা।
রায় ঘোষণার সময় তারা একটি কাচবন্দি বাক্সে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিচারক ইভেন বলিবোক বলেন, ‘ববিকিন এবং ইভানভের অপরাধ পুরোপুরি প্রমাণিত হয়েছে।’
প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, দেরহাচি শহরের একটি স্কুল উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। তবে ওই হামলায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ববিকিন একজন আর্টিলারি চালক। আর ইভানভ একজন বন্দুকধারী। সীমান্ত অতিক্রম করার সময় তারা ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে বন্দি হন।
‘আমরা প্রত্যেকের ১২ বছর করে জেল চেয়েছিলাম। তবে রুশ সেনাদের পক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা কেবল নির্দেশ পালন করেছে। আর এ জন্য তারা অনুতপ্ত।’
মস্কো থেকে রায়ের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর এটি দ্বিতীয় যুদ্ধাপরাধের রায়। গত সপ্তাহে ২১ বছরের এক রাশিয়ান সেনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় কিয়েভের আদালত। ভাদিম শিশিমারিন নামে ওই সেনার বিরুদ্ধে বেসামরিক ইউক্রেনীয় নাগরিক হত্যার অভিযোগ প্রমাণ হয়।
যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে ৬২ বছর বয়সী ওলেক্সান্ডার শেলিপভকে মাথায় গুলি করার অভিযোগ আনা হয়েছিল শিশিমারিনের বিরুদ্ধে। তার আইনজীবী জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের ১৪ হাজারের বেশি মামলা তদন্ত করছে তারা।