বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাইডেনকে একনায়কতন্ত্রের ভয় দেখাচ্ছেন শি

  •    
  • ৩১ মে, ২০২২ ১৪:১৫

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পর সে রাতে অভিনন্দন জানাতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে ফোন করেন। সে সময় শি বাইডেনকে বলেন, গণতন্ত্রের ক্ষয় হচ্ছে। একনায়কতন্ত্রই বিশ্ব চালাবে।

তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এক ফোনালাপ নিয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল অ্যাকাডেমির নতুন স্নাতকদের উদ্দেশে দেয়া এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এক ফোনালাপে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে সতর্ক করে বলেছেন, গণতন্ত্রের ক্ষয় হচ্ছে এবং একনায়কতন্ত্র বিশ্ব চালাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পর সে রাতে অভিনন্দন জানাতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে ফোন করেন।

তবে বাইডেন জানিয়েছেন, একই কথা বেশ কয়েকবারই শি জিনপিং তাকে বলেছেন।

শি জিনপিং তাকে বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে গণতন্ত্র টিকবে না। গণতন্ত্রের জন্য একটি ঐকমত্যের প্রয়োজন। এই জন্য অনেক সময় লাগে। আপনার হাতে সে সময় নেই।

তবে নবীন নৌসেনাদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় বাইডেন বলেন, শি ভুল।

নবীন নৌসেনাদের উদ্দেশে ভাষণে জো বাইডেন

নৌসেনাদের উদ্দেশে জো বাইডেন আরও বলেন, আমরা একনায়কতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মধ্যে একটি বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের মধ্যে বসবাস করছি। আপনারা প্রত্যেকে যখন দেশের বাইরে যাবেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য হবেন না, আপনি আমাদের গণতন্ত্রের প্রতিনিধি ও রক্ষক হবেন। সেই জন্য আপনি আমাদের কোনো সর্বাধিনায়ক বা কোনো রাজনৈতিক নেতার কাছে শপথ নিচ্ছেন না। সংবিধানের কাছে শপথ নিচ্ছেন।

এদিকে ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রেক্ষাপটে এক নতুন বাস্তবতায় ও চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকিতে যুক্তরাষ্ট্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাইওয়ানকে সামরিক উপায়ে একীভূতকরণের যেকোনো চেষ্টায় সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করবে তারা।

একবিংশ শতাব্দীতে গণতন্ত্র টিকবে না। গণতন্ত্রের জন্য একটি ঐকমত্যের প্রয়োজন। এই জন্য অনেক সময় লাগে। আপনার হাতে সে সময় নেই।

চীন বলছে, তাইওয়ান দেশটির অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং চীন যেকোনো উপায়ে তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা সামরিক উপায়ও বিবেচনায় রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্রকেও সতর্ক করে চীন বলেছে, দেশটি আগুন নিয়ে খেলছে।

তাইওয়ানও বলছে, চীনের আক্রমণে দাঁত ও নখ দিয়ে তারা দ্বীপটিকে রক্ষা করবে।

চীন প্রায় নিয়মিতভাবেই তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করে।

আর্মি ইনফ্রেন্টি কলেজে পিএলএ সেনাদের সঙ্গে শি জিনপিং

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি চীনের প্রায় ৩৯টি যুদ্ধবিমানের বিশাল বহর তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করে। চীনের এমন পদক্ষেপে বরাবরই সতর্ক করে আসছে তাইওয়ান। তবে এখন পর্যন্ত দ্বীপটিকে চীনা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কোনো জোরালো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

তবে শুধু তাইওয়ান নিয়েই নয়, অন্যান্য বৈশ্বিক ইস্যুতেও চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মতবিরোধ ও বৈরিতা দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে নিয়ে চীনবিরোধী চার দেশের জোট কোয়াড গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিভাগের আরো খবর