ভারতের দিল্লির বসন্ত বিহার এলাকায় ফ্ল্যাট থেকে এক নারী ও তার দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভেতর থেকে দরজা আটকানো ফ্ল্যাটটি থেকে শনিবার রাতে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হলেও এ মুহূর্তে কিছুই পরিষ্কার নয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে চারটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। সেসব নোট সম্পর্কে কিছু বলছে না পুলিশ।
যেভাবে উদ্ধার মরদেহ
পুলিশ জানায়, বসন্ত বিহার থানায় শনিবার রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে একটি কল আসে। সে কলে অন্য প্রান্ত থেকে পুলিশকে জানানো হয়, বসন্ত অ্যাপার্টমেন্টের ২০৭ নম্বর ফ্ল্যাটটি ভেতর থেকে আটকানো। দরজা খোলা হচ্ছে না।
খবর পেয়ে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অন্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বসন্ত ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন, চারদিক থেকে দরজা-জানালা বন্ধ। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গ্যাস সিলিন্ডার আংশিক খোলা দেখে পুলিশ।
ভেতরের কক্ষে তল্লাশি করে তিনটি মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘরে একটি ফায়ারপ্লেসও পাওয়া যায়।
পুলিশের ধারণা, দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু
দম বন্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। বাহিনীর প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, তিনজনের মধ্যে আত্মহত্যার বোঝাপড়ার অংশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে কাঠকয়লা পোড়ানোর বিশেষ চুলা ও কাঠকয়লা কেনেন। ঘটনার দিন তারা ফ্ল্যাটের জানালাগুলো টেপ দিয়ে আটকে দেন।
দিল্লি পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ-পশ্চিম) মনোজ সি নিহত তিনজনকে শনাক্ত করেন। তারা হলেন ৫৪ বছর বয়সী মঞ্জু, তার দুই মেয়ে ২৭ বছরের আশিকা ও ২৫ বছর বয়সী অঙ্কু।
মনোজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনাভাইরাসে মঞ্জুর স্বামীর (যিনি বাড়ির মালিক ছিলেন) মৃত্যু হয় ২০২১ সালের এপ্রিলে। তারপর থেকে পরিবারটি হতাশাগ্রস্ত ছিল।
‘অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী ছিলেন মঞ্জু। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, দম বন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’