ইউক্রেনীয় এক শরণার্থী তরুণীর প্রেমে পড়ে স্ত্রীকে ত্যাগ করেছেন টনি গার্নেট নামের এক ব্রিটিশ। দুই সন্তানের বাবা তিনি।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২২ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় ওই তরুণীর নাম সোফিয়া কারকাদিম। যুদ্ধ থেকে বাঁচতে দেশ থেকে পালিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ইয়র্কশায়ারের ব্রাডফোর্ডে শরণার্থী হিসেবে জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। আর নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করা টনি গার্নেটের পরিবার গত মে মাসের শুরুর দিকে তাকে আশ্রয় দিয়েছিল।
কিন্তু সোফিয়াকে আশ্রয় দেয়ার মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই টনির সংসারে আগুন লাগে। এত দিনের সুখী দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তিনি।
টনি জানিয়েছেন, ওই ইউক্রেন সুন্দরীর প্রেমে পড়েছেন তিনি এবং বাকি জীবন তার সঙ্গেই কাটাতে চান।
পশ্চিম ইউক্রেনের লভিভ শহর থেকে পালিয়ে আসা সোফিয়া দাবি করেছেন, টনির সঙ্গে পরিচয়ের পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তার প্রেমে পড়ে গেছেন তিনি। যদিও সেই সময়টিতে টনি আর তার স্ত্রী লর্না খুব প্রেমময় দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছিলেন।
টনি বলেন, ‘সোফিয়ার জন্য আমার যে অনুভূতি কাজ করেছে তা আগে কখনও হয়নি।
টনির পরিবার সোফিয়াকে রাশিয়ার আক্রমণ থেকে বাঁচতে সাহায্য করেছিল। এ বিষয়ে টনি দ্য সানকে জানিয়েছিলেন, তিনি একটি ভালো কাজ করতে চাইছেন।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, টনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে গৃহহীনদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তাব দেন।
টনি জানান, সোফিয়া খুব কম সময়ে এত আন্তরিক হয়ে উঠেছিলেন যে তার ছয় বছর বয়সী এবং তিন বছরের মেয়েরাও তাকে খুব পছন্দ করেছিল।
টনি স্লোভাকিয়ান ভাষায় কথা বলেন। আর তার প্রেমিকার ভাষা ইউক্রেনীয়। এই দুই ভাষার মধ্যে কিছুটা মিল থাকায় প্রেমের আলাপ জমাতে তাদের কোনো অসুবিধা হয়নি। আরেকটি বিষয় হলো- এই দুজন যখন প্রেমের কথা বলত, তখন টনির স্ত্রী বুঝতেই পারতেন না তারা কী বিষয়ে কথা বলছেন।
টনি বলেন, ‘আমাদের সময়টা ভালোই যাচ্ছিল। যেকোনো অজুহাতে আমরা একে অপরের কাছে আসার চেষ্টা করি। আমরা যতই কাছাকাছি আসতে থাকি, লর্না ততই রেগে যেতে শুরু করে এবং প্রশ্ন করে, কেন সোফিয়া আমার সঙ্গে সব সময় থাকতে চায়।’
টনি জানান, সময়ের ব্যবধানে সোফিয়ার সঙ্গে শারীরিকভাবেও ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তিনি। লর্না অবশ্য এসব বিষয় নিয়ে সোফিয়ার প্রতি বেশ বিরক্ত আর ঈর্ষান্বিত ছিল।
টনি বলেন, 'আমার মধ্যে এমন কিছু কাজ করেছে যে, আমি লর্নাকে বলি- সে যদি যেতে চায়, আমিও তাকে ছেড়ে দেব।’
শেষ পর্যন্ত লর্না আর টনির ১০ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানেই শেষ হয়ে গেল।