বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ

  •    
  • ১৪ মে, ২০২২ ১৮:৪০

বিপ্লব দেব বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই ইস্তফা দিয়েছি। সংগঠন থাকলে তবেই সরকার থাকবে। সংগঠনের কাজ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি আমার যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এতদিন ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে ন্যায় করেছি, ত্রিপুরার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেছি।’

অনেকটা আচমকাই পদত্যাগ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

রাজ্যপালকে এক লাইনের পদত্যাগপত্র লিখে শনিবার থেকেই অব্যহতি চেয়েছেন তিনি।

বিপ্লব দেবের ইস্তফা দেয়ার কারণ স্পষ্ট না হলেও সংবাদমাধ্যমকে বিপ্লব জানিয়েছেন, ‘দল আমাকে যেমন, যে কাজের জন্য ভাববে, আমি রাজি।’

তিনি বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই ইস্তফা দিয়েছি। সংগঠন থাকলে তবেই সরকার থাকবে। সংগঠনের কাজ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি আমার যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এতদিন ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে ন্যায় করেছি, ত্রিপুরার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেছি।’

এ দিন সংবাদমাধ্যমের সামনে বিপ্লব আরও বলেন, ‘সামনে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন। দল যেভাবে চাইবে, আমি সেভাবেই কাজ করব। আমরা চাইছি, দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যে বিজেপি সরকার থাকুক। আর সরকার ধরে রাখতে গেলে আমার মতো সংগঠককে প্রয়োজন।’

যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ত্রিপুরা বিজেপিতে দীর্ঘদিন ধরে গণ্ডগোল চলছিল। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে সুদীপ রায় বর্মনের মতো কয়েকজন বিধায়ক বিজেপি ত্যাগ করেছেন।

শুক্রবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সাবেক সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারপর অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার ফলেই আজ শনিবার বিপ্লব দেবের ইস্তফা।

গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব আর প্রতিষ্ঠানবিরোধী আন্দোলনে জর্জরিত ত্রিপুরা বিজেপিকে অক্সিজেন দিতে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

শনিবারই রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হতে পারে।

তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, ‘ত্রিপুরার হাজার হাজার মানুষকে ব্যর্থ করে দেয়া মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায়। যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এতটা ক্ষতি হয়েছে যে, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তার অক্ষমতায় বিরক্ত। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস যা অর্জন করেছে, তাতেই বিচলিত বিজেপির নেতারা, পরিবর্তন অনিবার্য।’

এ বিভাগের আরো খবর