বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘তিনি ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের কণ্ঠস্বর’

  •    
  • ১৩ মে, ২০২২ ০২:১৯

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর জন্য ইসরায়েল দায়ী। ঘটনা তদন্তে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ তদন্তের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যাব।’

আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়ার একদিন পর ফিলিস্তিনের রামাল্লায় রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয় তাকে।

অধিকৃত পশ্চিম তীরের শহরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট ভবনে আয়োজনে অংশ নেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি

জেনিন শহরে বুধবার ভোরে সামরিক অভিযান কভার করার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন শিরিন।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস শিরিনকে সম্মান জানানোর পর, ভবন প্রাঙ্গনে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা তাকে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেন, ‘এই মৃত্যুর জন্য ইসরায়েল দায়ী। ঘটনা তদন্তে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ তদন্তের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যাব।’

শিরিনের হত্যাকাণ্ড ফিলিস্তিন ও আরব বিশ্বে শোকের ছায়া ফেলেছে।

৫১ বছরের শিরিন আল জাজিরা আরবি টেলিভিশনের একজন সিনিয়র সংবাদদাতা ছিলেন। চ্যানেলটি চালু হওয়ার এক বছর পর ১৯৯৭ সালে সেখানে যোগ দেন তিনি।

ফিলিস্তিনের অনেকেই শিরিনকে ২০০০ সালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ইন্তিফাদা বা বিদ্রোহের সময় পশ্চিম তীরের প্রধান শহরগুলোতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বড় বড় হামলাগুলো কভার করার জন্য মনে রাখবে।

সাংবাদিকতার ছাত্র আজহার খালাফ বলেন, ‘তার শাহাদাতের খবরটি প্রত্যেক ফিলিস্তিনির মুখে চড় মারার মতো ছিল।’

বিরজাইট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র শিরিনকে ‘মিডিয়া আইকন’ এবং ‘মডেল’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

‘তিনি প্রতিটি বাড়িতে ছিলেন, প্রতিটা ফিলিস্তিনিদের ব্যথা অনুভব করেছিলেন। তিনি ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের কণ্ঠস্বর।’

শিরিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপর রামাল্লা শহরের কেন্দ্র আল-মানারা স্কোয়ারে তার একটি বিশাল ছবি টাঙানো হয়।

৩৭ বছরের রাজনৈতিক ও সামাজিককর্মী হাজেম আবু হেলাল বলেন, ‘শিরিন জনগণের কাছাকাছি ছিলেন।

‘সবাই তাকে শুধু তার কাজের জন্যই নয়, সমাজে তার সম্পৃক্ততার জন্যও জানত। তিনি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশপাশি বিভিন্ন সংগঠনের অনেক উদ্যোগের অংশ ছিলেন।’

সাংবাদিক, সহকর্মী এবং বন্ধুরা বৃহস্পতিবার সকালে ইস্তিশারি হাসপাতালে শিরিনকে দেখতে ভিড় করেন। তবে কেবল ঘনিষ্ঠদের হাসপাতালের মর্গে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তাদের কান্নায় তখন ভারী হয়ে উঠে আশপাশ।

এরপর তার মরদেহ সেখান থেকে পিএ ন্যাশনাল গার্ডের গাড়িতে নেয়া হয় প্রেসিডেন্ট কম্পাউন্ডে। সেখানে আয়োজন শেষ করে শিরিনের মরদেহ একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং পরে একটি কাফেলায় করে রামাল্লা এবং জেরুজালেমের মাঝে অবস্থিত কালান্দিয়া চেকপয়েন্টে নেয়া হয়।

সেখান থেকে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহর সেন্ট লুইস ফ্রেঞ্চ হাসপাতালে তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার ওল্ড সিটিতে শিরিনের দাফন হবে।

এ বিভাগের আরো খবর