শ্রীলঙ্কার সাধারণ নাগরিকদের ওপর গুলি করার কোনো নির্দেশনা সেনাদের দেয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল শভেন্দ্র সিলভা। বিবৃতিতে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কোনো পরিস্থিতিতেই এ ধরনের অপমানজনক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নেবে না।
ডেইলি মিরর অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধী রাজনৈতিক দল-ফ্রন্টলাইন সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা ডুমিন্ডা নাগামুওয়া এ অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন, জনগণের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
এই অবস্থায় বাহিনীর অবস্থান স্পষ্ট করেন লঙ্কান সেনাপ্রধান।
অর্থনৈতিক মন্দায় জর্জরিত শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। বিক্ষোভ দমাতে চলছে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার পাশাপাশি চলছে কারফিউ। তার পরও আটকানো যাচ্ছে না প্রতিবাদ। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়ে উঠেছে সহিংসতাময়।
চলছে জ্বালাও-পোড়াও। মন্ত্রী-এমপিদের ওপর হামলা হচ্ছে। পরিবার নিয়ে একটি নৌঘাঁটিতে অবস্থান করছেন সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার খবর রটে, বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে ডেইলি মিরর জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগে যারা সরকারি সম্পদের ক্ষতি করছে অথবা লুটপাট চালাচ্ছে, তাদের দেখামাত্র গুলি করা হবে।
এ ঘোষণায় আতঙ্ক বাড়ে জনমনে। ডুমিন্ডা নাগামুওয়ার মতো অনেকের ধারণা, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে পারেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া।
এদিকে বিক্ষোভে সহিংসতাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।