বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্ষমতা নেবে না শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী

  •    
  • ১১ মে, ২০২২ ১৮:৫১

কামাল গুনারত্নে বলেন, ‘যখন দেশে কোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন সমস্যা সমাধানে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়া হয়। তবে কখনই ভাববেন না যে, আমরা ক্ষমতা নিচ্ছি। সেনাবাহিনীর এই ধরনের কোনো মনোভাব নেই।’

নানা সংকটে ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে শ্রীলঙ্কা, ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও। পদ ছাড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর কী? সেনাবাহিনীর হাতেই কি তবে সমাধান?

এমন প্রশ্ন উঠছে বারবারই। তবে সে পথে এগোচ্ছে না পরিস্থিতি। অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে মাঠে থাকলেও এই মুহূর্তে ক্ষমতায় বসার কোনো পরিকল্পনা নেই সেনাবাহিনীর।

বুধবার সার্বিক পরিস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।

সচিব কামাল গুনারত্নে বলেন, ‘যখন দেশে কোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন সমস্যা সমাধানে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়া হয়।

‘তবে কখনই ভাববেন না যে আমরা ক্ষমতা নিচ্ছি। সেনাবাহিনীর এই ধরনের কোনো মনোভাব নেই।’

চলমান সংকটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমেই সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পক্ষে মত দিচ্ছেন অনেকে। তারা বলছেন, সমাধান এখন তাদের হাতেই।

এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সেনাদের হাতে যাওয়ার নজির নেই। তবে ১৯৬২ সালে একবার চেষ্টা হয়েছিল সেনা অভ্যুত্থানের, কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।

বেশ কিছুদিন ধরেই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে উত্তাল শ্রীলঙ্কা; চলছে সরকার পতনের আন্দোলন। এমন প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট ছোট ভাই গোতাবায়া রাজাপাকসের অনুরোধে সোমবার পদ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।

এরপর সপরিবারে সেনা সহায়তায় হেলিকপ্টারে বাসভবন ছাড়েন মাহিন্দা। তারা যেন দেশ না ছাড়তে পারেন সে জন্য বিমানবন্দরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেও প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া পদ ছাড়ছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। পার্লামেন্টে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় টানা কয়েক দিন ধরে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলন সোমবার আরও বড় রূপ ধারণ করে। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনে বসা বিক্ষুব্ধদের ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থকরা। বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষ হয়। দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে।

রাজধানী কলম্বোর কাছে নিত্তামবুয়া এলাকায় নিহত হন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল শ্রীলঙ্কা পদুজেনা পেরামুনার (এসএলপিপি) এমপি অমরাকীর্থি আথুকোরালা। এ ছাড়া এক পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন আরও অন্তত সাতজন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। প্রথমে কলম্বো এবং পরে পুরো দেশে জারি করা হয়েছে কারফিউ। তবে নির্দেশনা অমান্য করেই মাঠে আছে আন্দোলনকারীরা।

এ বিভাগের আরো খবর