বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হতে যে শর্ত সজিতের

  •    
  • ১১ মে, ২০২২ ১৪:৩০

সজিত জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে তার আপত্তি নেই; তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন না তিনি। প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করতে হবে।

সরকারবিরোধী আন্দোলনের মুখে পড়ে পদত্যাগ করতে হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে; এখন এই পদের জন্য খোঁজা হচ্ছে নতুন কাউকে।

বিরোধী দল সামগি জনা বালাওয়েগয়া (এসজেবি) নেতা সজিত প্রেমাদাসার নাম দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য আলোচনায় রয়েছে। তবে দায়িত্ব গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও এ জন্য একটি শর্ত দিয়েছেন তিনি।

সজিত জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে তার আপত্তি নেই; তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন না তিনি। প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করতে হবে।

বিরোধী দলের এমপি লক্ষ্মণ কিরিয়েলা বুধবার সকালে এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিলন টুডে

আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের থাকা না থাকা নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

বেশ কিছুদিন ধরেই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে উত্তাল শ্রীলঙ্কা; চলছে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন।

এক বৈঠকে গোতাবায়া সংকট সমাধানে বড় ভাই মাহিন্দাকে পদত্যাগ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন গত শুক্রবার। এরপরই সোমবার পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা। এরপর সপরিবারে সেনা সহায়তায় বাসভবন ছাড়েন তিনি।

তবে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া পদ ছাড়ছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। পার্লামেন্টে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কায় টানা কয়েক দিন ধরে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলন সোমবার আরও বড় রূপ ধারণ করে। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনে বসা বিক্ষুব্ধদের ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থকরা। বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষ হয়। দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। প্রথমে কলম্বো এবং পরে পুরো দেশে জারি করা হয়েছে কারফিউ। এমন প্রেক্ষাপটেও নির্দেশনা অমান্য করেই মাঠে আছে আন্দোলনকারীরা।

এদিন রাজধানী কলম্বোর কাছে নিত্তামবুয়া এলাকায় নিহত হন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল শ্রীলঙ্কা পদুজেনা পেরামুনার (এসএলপিপি) এমপি অমরাকীর্থি আথুকোরালা। এ ছাড়া এক পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন আরও অন্তত সাতজন।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের কুরুনেগালা শহরে মাহিন্দা রাজাপাকসের পৈতৃক বাড়ি ‘মেদামুলানা ওয়ালাওয়াতে’ আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। অন্য বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীর গাড়িতেও আগুন দেয়া হয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে আরও কঠোর অবস্থানে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাড়ানো হয়েছে তাদের ক্ষমতা। বেড়েছে সেনা টহল।

বৈদেশিক রিজার্ভের সংকট এবং মুদ্রাস্ফীতিতে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দায় ধুঁকছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। এ জন্য রাজাপাকসে সরকারের দুর্নীতিকে দুষছে দেশটির জনগণ।

এ বিভাগের আরো খবর