বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফিলিপাইনের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্টের অক্সফোর্ড ডিগ্রি জালিয়াতি

  •    
  • ৯ মে, ২০২২ ১৫:১২

৬৪ বছর বয়সী ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র পড়াশোনা করেছেন ইংল্যান্ডের সাক্সেসের প্রাইভেট ওর্থ স্কুলে। তার অফিশিয়াল বায়োগ্রাফিতে তিনি নিজেকে একজন অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট দাবি করলেও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি বলছে, পড়াশোনা শেষ করেননি তিনি।

আজকের ভোটেই নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন এটি। কারণ সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে বর্বরতার অভিযোগ মাথায় নিয়েই প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ত্যাগ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে, ফিলিপাইনের একজন হেভিওয়েট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড ডিগ্রি জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।

দুতার্তের স্থান দখল করতে নির্বাচনে লড়ছেন প্রায় ১০ জন। বলা হচ্ছে, এই ১০ জনের মধ্যে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে দুজনেরই সম্ভাবনা রয়েছে।

এর মধ্যে একজন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। যিনি ‘বংবং’ নামে পরিচিত। তার বাবা ফার্দিনান্দ মার্কোস সিনিয়র ফিলিপাইনের সাবেক স্বৈরশাসক। ১৯৮৬ সালে মার্কোস সিনিয়রকে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

৬৪ বছর বয়সী মার্কোস পড়াশোনা করেছেন ইংল্যান্ডের সাক্সেসের প্রাইভেট ওর্থ স্কুলে। তার অফিশিয়াল বায়োগ্রাফিতে তিনি নিজেকে একজন অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট দাবি করলেও ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি নিশ্চিত করেছে, তিনি কেবল ১৯৭৮ সালে সোশ্যাল স্টাডিজে ডিপ্লোমা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি তার পড়াশোনা শেষ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, এই ডিপ্লোমা কখনই গ্র্যাজুয়েশনের ডিগ্রির সমতুল্য নয়।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাবেক ফিলিপিনো ছাত্রদের সংগঠন অক্সফোর্ড ফিলিপিন্স সোসাইটিও জানিয়েছে, মার্কোসের অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েশনের দাবি সত্য নয়। এমনকি সংগঠনটি একজন হেভিওয়েট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর মিথ্যা দাবিতে উদ্বেগও জানিয়েছে।

মার্কোসের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিপক্ষ লেনি রব্রিদো

এদিকে মার্কোসের বিপরীতে শক্ত প্রতিপক্ষ হলেন লেনি রব্রিদো, যিনি দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি দেশটির গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আরও জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ সরকার প্রতিষ্ঠা করার।

ফিলিপিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আরিয়েস আরুগে আল জাজিরাকে বলেন, ‘এই নির্বাচন মূলত ভালো ও খারাপের প্রচারণা। এটি স্পষ্ট যে দুতার্তে ছিলেন রাজতান্ত্রিক, স্বৈরাচার ও দায়মুক্তির প্রতিনিধি, সেখানে রব্রিদ্রো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এর বিপরীত: সততা, দায়বদ্ধতা ও গণতন্ত্র।’

এ বিভাগের আরো খবর