ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস থেকে প্রকাশিত সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম ডেটা (সিআরএস) অনুযায়ী ২০২০ সালে দেশটিতে ৮১ লাখ ১৬ হাজার মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে। মারা যাওয়া ভারতীয়দের মধ্যে ৪৫ শতাংশের বেশি মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসার অভাবে।
সিআরএস ডেটাতে একটি মূল মেট্রিক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে ভারতে করোনা মহামারি চলাকালীন নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুবিধাগুলো ব্যবহার করা কতটা কঠিন ছিল।
২০২০ সালে বেশ কয়েক মাস ধরে চলা করোনা মহামারির কারণে অন্যান্য চিকিৎসাসেবা স্থগিত করা হয়েছিল বা কমিয়ে ফেলা হয়েছিল। সে সময় ভারতে কয়েকটি হাসপাতাল শুধু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ শয্যা সংরক্ষিত ছিল। ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষের অন্যান্য অসুস্থতার জন্য চিকিৎসাসেবা পাওয়াটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। সিআরএস ডেটায় এই প্রথমবারের মতো পুরো পরিস্থিতির চিত্র ফুটে উঠেছে।
২০১৯ সালে মারা যাওয়া মোট ভারতীয়র মধ্যে চিকিৎসার অভাবে মারা গিয়েছিল ৩৪.৫ শতাংশ মানুষ। ২০২০ সালে যা দাঁড়ায় ৪৫ শতাংশে। একক বছরে চিকিৎসার অভাবে এইটাই ভারতে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
একই সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসার অধীনে মৃত্যুসংখ্যা কমে গেছে। ২০১৯-এ হার ছিল ৩২.১ শতাংশ, যা ২০২০-এ এসে ২৮ শতাংশে নেমেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২১ সালের ডেটাতে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর হার আরও বাড়তে পারে কারণ এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেক ভারতীয় মারা গেছে।
ভারতে গত এক দশকে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর হার বাড়ছে। ২০১১ সালে রেকর্ডকৃত মৃত্যুর মাত্র ১০ শতাংশ ঘটেছিল চিকিৎসার অভাবে। তবে সে সময় মৃত্যুর নিবন্ধনের হার ৭০ শতাংশেরও কম।