শ্রীলঙ্কার বার্ষিক বাজেটকে ‘অবাস্তব’ আখ্যা দিয়ে নতুন বাজেটের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী আলি সেবরে। পার্লামেন্টে দেয়া বক্তব্যে বুধবার এ ঘোষণা দেন লঙ্কান অর্থমন্ত্রী।
সেবরে বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ পণ্যে রাজস্ব বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বর্তমানে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ রাজস্ব দিতে হয় সরকারকে। আগামী দুই বছরে তা বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
সংকট কাটিয়ে উঠতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘৩০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার বদলে ৭০০ মিলিয়ন ডলার করার চেষ্টা চলছে।’
বিদেশি রিজার্ভ না থাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ে আছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। মুদ্রাস্ফীতির কারণে নিত্যপণ্যের দাম ঠেকেছে আকাশে। আমদানিনির্ভর দেশটি এরই মধ্যে সাহায্যের জন্য ছুটছে মিত্রদের কাছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের ক্ষোভ বাড়ছে সরকারের ওপর। বিভিন্ন স্থানে জোরদার হচ্ছে বিক্ষোভ। এ সুযোগটা কাজে লাগাতে যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
সামাগি জনা বালাওয়েগয়া (এসজেবি) মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এবং তার ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
এসজেবির জেনারেল সেক্রেটারি রঞ্জিত মাদুমা বান্দারা বলেন, ‘আমরা স্পিকারের সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করে দুটি অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছি। প্রথমটি সংবিধানের ৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে; অন্যটি সরকারের বিরুদ্ধে।’
প্রধান তামিল দল টিএনএ এবং ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টিও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আরেকটি অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসজেবির প্রস্তাব পাস হলে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। তবে টিএনএ বা ইউএনপির প্রস্তাব আইনিভাবে বৈধ না।