বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাবুলে মসজিদে বিস্ফোরণ: নিহত কমপক্ষে ৫০

  •    
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২২ ০২:০২

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র বেসমুল্লা হাবিব জানান, শুক্রবার বিকেলে রাজধানী শহরের পশ্চিমে খলিফা সাহেব মসজিদে এই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় মুসল্লিরা মসজিদে জুমার নামাজ শেষে জিকিরে অংশ নিতে সমবেত হয়েছিলেন।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি মসজিদে শক্তিশালী বিস্ফোরণে ৫০ জনের বেশি মুসল্লি নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৭৮জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর জিকিরে অংশ নেয়া মুসল্লিদের লক্ষ্য করে এই বোমা হামলা চালানো হয়।

পবিত্র রমজান মাসে আফগানিস্তানে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক হামলার সর্বশেষ ঘটনা এটি। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এই বোমা হামলার দায় স্বীকার করেনি।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র বেসমুল্লা হাবিব জানান, শুক্রবার বিকেলে রাজধানী শহরের পশ্চিমে খলিফা সাহেব মসজিদে এই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় মুসল্লিরা মসজিদে জুমার নামাজ শেষে জিকিরে অংশ নিতে সমবেত হয়েছিলেন।

সুন্নি ওই মসজিদটিতে জুমার নামাজের পর জিকিরের জন্য সমবেত মুসল্লিদের ওপর এ হামলা হয়।

মসজিদের ইমাম সৈয়দ ফজিল আগা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ওই জমায়েতে কোনও আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ঢুকে পড়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করছি।

‘বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে চারদিক কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। আর মুসল্লিদের দেহগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে। নিহতদের মধ্যে আমার ভাগ্নেরাও ছিল। আমি নিজে বেঁচে গেছি, কিন্তু প্রিয়জনকে হারিয়েছি।’

মোহাম্মদ সাবির নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি একের পর এক আহতকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেখেছি। বিস্ফোরণটির শব্দ ছিল ভয়াবহ। আমি ভেবেছিলাম আমার কানের পর্দা ফেটে গেছে।’

কাবুলের শহরতলির ইমার্জেন্সি হসপিটাল জানিয়েছে, সেখানে ২১ জন আহতকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর দুইজন হাসপাতালে পৌঁছানোর সময়ই মারা গেছেন।

হাসপাতালের একজন নার্স জানান, চিকিৎসাধীন আহত কয়েকজনের অবস্থা খুবই গুরুতর।

হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩০টি লাশ নেয়া হয়েছে বলে জানান এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

অন্য হাসপাতালের এক কর্মী জানান, সেখানে ৪৯ জন রোগী এবং পাঁচজনের মরদেহ রয়েছে। আহতদের মধ্যে দশজনের অবস্থা গুরুতর। প্রায় ২০জনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য খাত-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, হাসপাতালগুলোতে এখন পর্যন্ত ৬৬ জনের মরদেহ নেয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছে ৭৮জন।

ক্ষমতাসীন তালেবানের একজন মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বিস্ফোরণের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে এবং শাস্তি দেয়া হবে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আফগানিস্তানে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে বহু আফগান বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এসব হামলার কয়েকটির দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

ইমার্জেন্সি হাসপাতাল জানিয়েছে, তারা শুধু এপ্রিল মাসেই কাবুলে হামলায় আহত শতাধিক ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিচ্ছে। সর্বশেষ হামলাটি হলো ঈদের ছুটির শুরুতে। পবিত্র জুমাতুল বিদার দিনে।

ক্ষমতাসীন তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত বছরের আগস্টে ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে তারা দেশটিকে সুরক্ষিত করেছে এবং ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় শাখাগুলোকে অনেকাংশেই নির্মূল করতে পেরেছে। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটিতে জঙ্গিবাদের পুনরুত্থানের ঝুঁকি রয়ে গেছে।

অনেক হামলায় শিয়া সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তবে সুন্নি মসজিদেও হামলা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরিফে শিয়া মুসলমানদের বহনকারী দুটি যাত্রীবাহী ভ্যানে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত নয়জন নিহত হন। গত শুক্রবার, কুন্দুজ শহরে জুমার নামাজের সময় একটি সুন্নি মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত হন ৩৩ জন।

এ বিভাগের আরো খবর