ইউক্রেনে রুশ হামলায় এক ব্রিটিশ নাগরিক নিহত হয়েছেন, নিখোঁজ আছেন একজন।
নিহত ব্রিটিশ নাগরিকের নাম স্কট শিবলি। ৩৬ বছরের স্কট ব্রিটিশ আর্মড ফোর্সেসের একজন অভিজ্ঞ সদস্য ছিলেন। তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
দ্য ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) এক মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি একজন ব্রিটিশ নাগরিক ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন।’
স্কটই প্রথম ব্রিটিশ যিনি ইউক্রন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে রুশ সেনাদের হাতে বন্দি ব্রিটিশ দুই সহোদরের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা অস্পষ্ট।
এই দুই ভাই কিয়েভ বাহিনীর সহায়তায় ইউক্রেনে গিয়েছিলেন। তাদের মতো অনেক বিদেশি ইউক্রেন সেনাবাহিনীকে নানা ধরনের সহায়তা করে আসছে।
স্কটের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ব্যয় বহনের তহবিল গঠনের জন্য এরই মধ্যে একটি পেজ খোলা হয়েছে। স্কটের বন্ধু ক্রেগ এই পেজটি খুলেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘বন্ধু তো অনেকেই হয়, তবে তার মতো কেউ না। সে একজন সাহসী ব্যক্তি। সে আমার ভাইয়ের মতো ছিল।
‘তার জীবন সংক্ষিপ্ত হতে পারে, তবে তিনি সম্পূর্ণভাবে বেঁচে ছিলেন। শেষ অবধি লড়াই করে গেছেন।’
সেখানে মন্তব্য করা ড্যামন টাইলার নামে একজন লেখেন, ‘আমি তাকে জানতাম। সে দুর্দান্ত মানুষ ছিল। সবসময় হাসিমুখে থাকত।’
দ্বিতীয় ব্রিটিশ ব্যক্তির বিষয়ে এফসিডিও মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা একজন ব্রিটিশ নাগরিক সম্পর্কে সচেতন, যিনি ইউক্রেনে নিখোঁজ হয়েছেন। আমরা জরুরিভিত্তিতে আরও তথ্য খুঁজছি।’
ব্রিটিশ সেনাদের পাশাপাশি অনেক যোদ্ধা পুতিন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দিতে ইউক্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যুদ্ধের শুরুতে, ইউক্রেন সরকার সারা বিশ্ব থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যুদ্ধ করতে ব্রিটিশ নাগরিকদের ইউক্রেনে যাওয়া উচিত নয়। তারা অন্য উপায়ে ইউক্রেনকে সমর্থন করতে পারে।
তবে এসবে খুব একটা কাজ হয়নি। অনেক দেশের নাগরিক নিজ প্রচেষ্টায় ইউক্রেনে গিয়ে কিয়েভ বাহিনীর হয়ে পুতিনবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন।
এক সপ্তাহ আগে জানা যায়, পুতিন বাহিনীর হাতে শন পিনার ও এইডেন আসলিন নামে দুই ব্রিটিশ সেনা ধরা পড়েছেন।
শন পিনার (বাঁয়ে) এবং এইডেন আসলিন চলতি মাসের শুরুতে রুশ বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনে বন্দী এই সহোদরকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেখানো হয়েছিল। তাদের বিনিময়ে ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ ভিক্টর মেদভেদচুকে মস্কোয় ফেরত দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল ক্রেমলিন। মেদভেদচুক রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ। পশ্চিমা নেতারা অবশ্য এ আহ্বানে সাড়া দেয়নি।