পবিত্র শবে কদরে নামাজ আদায়ে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে সমবেত হয়েছিলেন আড়াই লাখের বেশি মানুষ। মসজিদ প্রাঙ্গণে বুধবার সন্ধ্যায় বিপুল মানুষের ঢল নামে বলে জানায় ইসলামিক অথরিটিজ ইন জেরুজালেম।
মুসলমানদের বিশ্বাস, পবিত্র এই মসজিদ থেকেই স্বর্গারোহণ করেছিলেন মহানবী (সা.)। এই রাতেই কুরআনের প্রথম আয়াত নাযিল হয়েছিল।
লায়লাতুল কদর রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতগুলোর একটিতে পড়ে বলে ধারণা করা হয়। তবে সঠিক রাতটি অজানা। যদিও সাধারণত ২৭ রোজায় এই রাতটি পড়ে বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন।
ইহুদি, খ্রিষ্টান এবং মুসলমান- তিন সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র স্থান জেরুজালেম। চলতি রমজানের মধ্যে ‘ইহুদি নিস্তারপর্বের ছুটি’ এবং ‘খ্রিষ্টীয় পবিত্র সপ্তাহ’ পড়েছে। এতে লাখ লাখ তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে জেরুজালেমে। এ নিয়ে প্রায় প্রতি রমজানেই মুসল্লিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ইসরায়েলি পুলিশ।
গত ১৫ এপ্রিল কয়েক হাজার মুসল্লি ফজরের নামাজের জন্য আল-আকসা মসজিদে যান। ইহুদি দর্শনার্থীদের চলাচলের পথ করে দিতে সে সময় মুসল্লিদের বেধড়ক পেটায় ইসরায়েলি পুলিশ। এতে আহত হন অন্তত ১৫৮ জন, আটক হন শতাধিক।
তবে বুধবার রাতে সংঘর্ষের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গত রমজানেও সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলে জেরুজালেমে। একপর্যায়ে গাজা উপত্যকায় ১১ দিনব্যাপী অভিযান চালায় ইসরায়েল।
অসম এই লড়াইয়ে কমপক্ষে ২৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হন; প্রাণ হারান ১৩ ইসরায়েলি। এক প্রকার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পুরো এলাকা।