বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী একজন মালয়েশীয় নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি কারাগারে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগেন্থরান ধর্মলিঙ্গমকে ২০১০ সালে মাদক পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এর আগে পুলিশ তার ঊরুতে আটকানো অবস্থায় ৪২.৭ গ্রামের হেরোইনের বান্ডিল খুঁজে পাওয়ার কারণে তাকে আটক করে।
সিঙ্গাপুর আদালতে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়ায় বিশ্বব্যাপী এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও সিঙ্গাপুরের বিচার বিভাগের সমালোচনা হয়েছিল।
এবার তার আটকের প্রায় ১১ বছর পরে এসে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো।
নাগেন্থরানের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বুধবার ভোর হওয়ার ঠিক আগে চাঙ্গি কারাগারে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তার ভাই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, মৃতদেহ মালয়েশিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে।
পারিবারিকভাবে উত্তরের শহর ইপোহতেতে নাগেন্থরানের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
তার আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন এম রাভি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের ভাঙতে পারবে, কিন্তু পরাজিত করতে পারবে না। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।’
নাগেন্থরানের মৃত্যুদণ্ড না দিতে মালয়েশিয়ার সরকার, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এমনকি রিচার্ড ব্র্যানসনের মতো সেলিব্রেটি উদ্যোক্তাও অনুরোধ করেছিলেন।
জাতিসংঘ বলছে, নাগেন্থরানই শেষ নয়। সিঙ্গাপুর আরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে। প্রায় ৫০ জনের মতো ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছে। শুধু সিঙ্গাপুরই নয়। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতেও মাদক চোরাচালানের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। যদিও সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড না রাখার বিষয়টি বিবেচনা করছে মালয়েশিয়া।