বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউরোপের দুই দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে যাচ্ছে রাশিয়া

  •    
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:১৮

বুলগেরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলছে, রুবলে মূল্য পরিশোধ অগ্রহণযোগ্য এবং বুলগেরিয়ার জন্য তাতে ‘উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি’ রয়েছে। এরই মধ্যে দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাসে রাশিয়ার বিকল্প খুঁজছে। পোল্যান্ডের জলবায়ুমন্ত্রী আনা মসকওয়া বলেছেন, রাশিয়ার সরবরাহ বন্ধ হলেও পোল্যান্ডে গ্যাসের কোনো ঘাটতি হবে না।

ইউক্রেনে রুশ অভিযানের প্রেক্ষাপটে পশ্চিমাদের সঙ্গে নতুন করে নাটকীয়ভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে রাশিয়ার। এরই মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এদিকে পশ্চিমাদের আশঙ্কা ছিল, তাদের শায়েস্তা করতে জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। এমন ইংগিত দেয়া হয়েছিল ক্রেমলিনের পক্ষ থেকেও।

ইউরোপের প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান জোগানদাতা রাশিয়া। পশ্চিমা বিধি-নিষেধের মধ্যে রুবল দর হারালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়ে দেন, বন্ধু নয়, এমন রাষ্ট্রকে রুশ জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কিনতে হলে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলেই কিনতে হবে।

এবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম রুবলে দিতে অস্বীকার করায় পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে রাশিয়া।

পোল্যান্ডের রাষ্ট্রচালিত গ্যাস ফার্ম পিজিনিগ জানিয়েছে, ইয়ামাল পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ স্থগিত করা হবে।

পিজিনিগের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম ২৬ এপ্রিলই গ্যাস বন্ধের বিষয়টি পিজিনিগকে জানিয়েছিল।

গ্যাজপ্রমের পক্ষ থেকে পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র সের্গেই কুপ্রিয়ানভে অবশ্য আগেই বলেছিলেন, পোল্যান্ডকে অবশ্যই রুবলে গ্যাসের মূল্য দিতে হবে, যদিও ওয়ারশ তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।

বুলগেরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্যাজপ্রমের পক্ষ থেকে বুলগেরিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি বুলগারগাজকে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে দেশটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হবে।

বুলগেরিয়ার জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলছে, রুবলে মূল্য পরিশোধ অগ্রহণযোগ্য এবং বুলগেরিয়ার জন্য তাতে ‘উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি’ রয়েছে। এরই মধ্যে দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাসে রাশিয়ার বিকল্প খুঁজছে।

পোল্যান্ডের জলবায়ুমন্ত্রী আনা মসকওয়া বলেছেন, রাশিয়ার সরবরাহ বন্ধ হলেও পোল্যান্ডে গ্যাসের কোনো ঘাটতি হবে না।

মার্চের শেষ দিকে সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের বাজারে রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প পাওয়া ‘ব্যবহারিকভাবেই অসম্ভব।’

সাদ আল-কাবি শুধু কাতারের জ্বালানিমন্ত্রীই নন, তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কাতার এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও।

সাক্ষাৎকারে সাদ বলেন, বিশ্ববাজারের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস রাশিয়া সরবরাহ করে। দেশটির তেল-গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা নেই কাতারের। কাতার মনে করে, জ্বালানিকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত।

এদিকে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ওপর একের পর এক অবরোধ আরোপের জবাবে প্রাকৃতিক গ্যাসকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। প্রাথমিক অবস্থায় রুশ মুদ্রার মান পুনরুদ্ধারে গ্যাস কূটনীতি ভালোই ফল দিয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় বৈদেশিক মুদ্রায় আস্থা হারিয়েছে তারা। তাই ইউক্রেন ইস্যুতে রুশবিরোধী অবস্থান নেয়া দেশগুলোকে রুশ মুদ্রা রুবলের মাধ্যমে গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে হবে।’

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর