পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। রোদে পথ চলতি মানুষের অবস্থা কাহিল। আগামী চার পাঁচ দিন এই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলবে। এমনকি এই সময়ের মধ্যে ঝড়বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
দেড় দশকের ইতিহাসে এই প্রথম এখনও পর্যন্ত কোনো কালবৈশাখী নেই কলকাতায়।
রোববার কলকাতা শহরের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি বেশি। স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা হলে তাকে তাপপ্রবাহ বলা হয়। সোমবারও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি।
কলকাতা শহরের উষ্ণতম দিন ছিল রোববার। তীব্র গরমে রাস্তায় লোকজন ও যানবাহনের সংখ্যা অন্য দিনের চেয়ে কম দেখা যায়।
তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে শহরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দমদম ও ব্যারাকপুরের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির বেশি। বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশ দাস বলেন, ‘উত্তর ও মধ্য ভারতের দিক থেকে আসা পশ্চিমি শুষ্ক ও উষ্ণ বাতাসের দাপটে পারদ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। ঝাড়খণ্ড, বিহারের দিক থেকে রাজ্যে ঢুকছে এই হওয়া।’
এরই মধ্যে বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া প্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম বাতাস বইবে। প্রয়োজন ছাড়া বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত রাস্তায় না বেরোনোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তীব্র গরমে কলকাতা পুড়লেও উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।