দ্বিতীয় মেয়াদে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইমানুয়েল মাখোঁ।
স্থানীয় সময় রোববারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেরি লা পেনকে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে হারান তিনি।
৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন মাখোঁ। কট্টর ডানপন্থি মেরি লা পেন পান ৪১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট।
জয়ের পর রোববার রাতের ভাষণে মাখোঁ বিভক্ত ফ্রান্সকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করতে তার দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানান।
এর আগে প্রাথমিক জরিপের ফল দেখে পরাজয় স্বীকার করে নেন লা পেন, তবে হেরে গেলেও দলের এমন ভোট প্রাপ্তিকে ‘বড় অর্জন’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল থেকে তার দল এবার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বেশি ভোট পেয়েছে। লা পেন বলেন, আগামী জুনে দেশটির পার্লামেন্টের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তার দল আরও বেশি এগিয়ে যাবে।
আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের উদ্দেশে মধ্যপন্থি নেতা মাখোঁ বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হয়েছে। এখন আমি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
এ সময় মাখোঁ স্বীকার করেন, অনেকে কট্টরপন্থি লা পেনকে ঠেকাতে তাকে ভোট দিয়েছেন। তিনি এমন সব ভোটারদের প্রজাতন্ত্রের প্রতি দায়িত্ববোধের কারণে কৃতজ্ঞতা জানান।
ভোটের পর এক প্রতিক্রিয়ায় লা পেন বলেন, তার দল ন্যাশনাল র্যালির (আরএন) জাতীয়তাবাদী প্রচারণার প্রতি সাড়া দিয়েছে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মানুষ।
কট্টর ডানপন্থি প্রার্থী ইরিক জেমোর জানিয়েছেন, লা পেন তার বাবার মতো বারবার পরাজিত হচ্ছেন।
এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো নিজের নাম পরাজিতের খাতায় লেখালেন লা পেন।
মাখোঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্টকে।
দেশটির ইতিহাসে মাখোঁ হলেন দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী ফ্রান্সের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট। ২০০২ সালে জ্যাক শিরাক দ্বিতীয় মেয়াদে বিজয়ী হন।