বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহানবী (সা.) এর পোশাক দেখতে হাজারও মানুষের ঢল

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ২৩:১৭

৯ বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে পোশাকটি দেখতে আসা লেইলা কাহরামান বলেন, ‘গত রাতে আমি ঘুমুতে পারিনি। দুই বছর ধরে আমি এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছি।’

মহানবী (সা.) এর একটি পোশাকের প্রদর্শনী চলছে তুরস্কের ইস্তানবুলের ফেইথ জেলায় অবস্থিত হিরকা-ই শেরিফ মসজিদে।

গত শুক্রবার নবীজীর ওই পোশাকটি সচক্ষে দেখতে হাজারও মানুষের ঢল নেমেছিল।

১৪০০ বছর আগে মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যবহৃত ওই পোশাকটি ঘিরেছিল অসংখ্য মানুষ। এই চাদরটি উয়াইস আল-কারামি নামে মুসলিম ধর্মে বিশ্বাসী এক ব্যক্তিকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন নবী। পরে উয়াইসের বংশধররা এটিকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সংরক্ষণ করেছেন।

পোশাক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইস্তানবুলের গভর্নর আলি ইয়ারলিকায়া ও ফেইথ জেলার মেয়র আর্গুন তুরান।

তুর্কি গণমাধ্যম ডেইলি সাবা’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ধর্মীয় এই সংগ্রহটি প্রতিবছর রমজান মাসে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। তবে, তুরস্কে করোনা ছড়িয়ে পড়লে এই প্রদর্শনী বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

মুসলিমদের কাছে সপ্তাহের পবিত্রতম দিন শুক্রবার। তাই রমজান মাসের প্রত্যেক শুক্রবার পোশাকটির প্রদর্শনী করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবারও কাঁচ দিয়ে ঘেরা পোশাকটি দেখতে হাজির হয়েছিলেন অসংখ্য নারী পুরুষ।

জুমার নামাজ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই শুরু হওয়া ওই প্রদর্শনীতে সারিবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে মসজিদের বিশেষ কক্ষটিতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এ সময় নারী-পুরুষের আলাদা দুটি সারি মসজিদের আঙ্গিনা ছাড়িয়ে বহুদূর পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। তবে, বছরে মাত্র একবার এটি দেখার সুযোগ পেয়ে তাদের সবাই খুব খুশি ছিল। নবীর পোশাক নিজ চোখে দেখে অনেককে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা গেছে।

মহানবী (সা.) এর পোশাক দেখতে মসজিদের বাইরে নারীদের একটি দীর্ঘ সারি

আগামী ২৯ এপ্রিল তথা ঈদুল ফিতরের দুইদিন আগে এ বছরের মতো পোশাকটির শেষ প্রদর্শনী হবে।

৯ বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে পোশাকটি দেখতে এসেছিলেন লেইলা কাহরামান। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘গত রাতে আমি ঘুমুতে পারিনি। দুই বছর ধরে আমি এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছি।’

লেইলার ছেলে ওমর ফারুক বলেন, ‘আমি নবীজীকে খুব ভালোবাসি এবং এখানে আসতে পেরে খুব খুশি।’

এ বিভাগের আরো খবর