বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিয়েভ যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৩৭

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন রোববার কিয়েভ সফর করবেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর দুই মাসের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশটির রাজধানী কিয়েভে যাচ্ছেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন রোববার কিয়েভ সফর করবেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।

তবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এই সফরের ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ২৪ ফেব্রুয়ারি এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের এত উচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার এটাই প্রথম ইউক্রেন সফর। এর আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেনসহ যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা প্রতিবেশী পোল্যান্ড সফর করেছেন।

গত আট সপ্তাহের এই যুদ্ধে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। দেশের ভেতরেও উদ্বাস্তু হয়েছে আরও কয়েক লাখ মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের এই দুই কর্মকর্তার সফরের সময় ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে কি না তা পরিষ্কার নয়।

এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘এই যুদ্ধে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জয়লাভ করবেন। এই যুদ্ধে ইউক্রেন জয়লাভ করতে যাচ্ছে, রাশিয়ার কৌশলগত পরাজয় হতে যাচ্ছে।’

যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করবে কি না এই প্রশ্নের জবাবে প্রাইস বলেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ইউক্রেনীয়দের যা দরকার আমরা সেসবই পাঠাচ্ছি।’

এদিকে গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ইউক্রেনে বড় ধরনের সামরিক সফলতা দেখাতে চাইছে দেশটি।

যুক্তরাজ্য বলছে, যুদ্ধক্ষেত্রে যত দিন যাবে তত দ্রুত ও শক্তিশালী হামলার মুখোমুখি হতে হবে ইউক্রেনকে। রুশ বাহিনী এরই মধ্যে দোনবাস থেকে ক্রামাটর্স্কে আক্রমণ করতে পারে। এরই মধ্যে শহরটিতে ব্যাপক মাত্রায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে।

১৯৪৫ সালে নাৎসি জার্মানিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পরাজিত করার বিষয়টিকে স্মরণ করেই ৯ মে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।

ইউক্রেন ও পশ্চিমা বিশ্বের ধারণা, দিনটিকে সামনে রেখেই যুদ্ধকে আরও এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্য স্থির করতে পারেন ভ্লাদিমির পুতিন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর