বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পাঠভবনের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বভারতীর উত্তর হোস্টেল থেকে পাঠভবনের একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসীম দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
হোস্টেলের ঘরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। চিকিৎসার জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, ‘তাদের ছেলেকে মেরে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা কোনোভাবেই আত্মহত্যা হতে পারে না।’
পরিবারের লোকজন আসার আগে কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হলো তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
বর্ধমান হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হলে তার পরিবার ও স্বজনরা মরদেহ নিয়ে শান্তিনিকেতন থানার সামনে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
এরপর মরদেহ নিয়ে তারা উপাচার্যের বাড়িতে যায় স্বজনরা। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্র-ছাত্রী ও স্বজনেরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ‘বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।’
উপাচার্যের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ হলেও তিনি একবারের জন্য বাইরে বের হননি বা মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেননি বলে অভিযোগ।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক ছাত্র বলেন, ‘আমরা চাইছি, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। কী ঘটেছে, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা জানার অধিকার একমাত্র পরিবারের রয়েছে। আমরা চাইছি, সিআইডি তদন্ত হোক।’
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ‘বুধবার রাতে কথা হলো, তারপর কীভাবে সে আত্মহত্যা করতে পারে? ওকে মেরে ফেলা হয়েছে।’
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।