রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বক্তব্যে একসময়ের সোভিয়েতভুক্ত মলদোভা আতঙ্কে রয়েছে। এরই মধ্যে দেশটি ‘গভীর উদ্বেগ’ জানাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে রুশ সেন্ট্রাল মিলিটারি ডিস্ট্রিকট চিসিনাউ-এর ডেপুটি কমান্ডার রুস্তম মিনেকায়েভ এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা ক্রিমিয়ার সঙ্গে পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাসের একটি করিডর তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল রুশ সেনারা।
এই বিবৃতিতে তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, নিপীড়িত রুশ ভাষাভাষীদের রক্ষার জন্য রাশিয়ার বাহিনী আরও পশ্চিমে ট্রান্সনিস্ট্রিয়াতে যেতে পারে, যা আন্তর্জাতিকভাবে মলদোভার অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
কিন্তু মলদোভা বলছে, বিবৃতিগুলো ভিত্তিহীন এবং রাষ্ট্র হিসেবে মলদোভার অবস্থান নিরপেক্ষ। রাশিয়ান ফেডারেশনসহ সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মলদোভার নিরপেক্ষ অবস্থানের নীতিকে সম্মান জানানো।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি রুশ কমান্ডারের বক্তব্যের সূত্র ধরে বলেন, মস্কো দক্ষিণ ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়, এর ফলে তারা প্রতিবেশী মলদোভার ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে প্রবেশাধিকার পাবে।
জেলেনস্কি বলেন, রুশ কমান্ডারের বিবৃতি আমাদের দেখায় ইউক্রেনের ওপর আক্রমণ কেবল শুরু। রাশিয়া অন্যান্য দেশেও আক্রমণ করতে চায়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।