বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মস্কভাডুবি: হতাহতের কথা স্বীকার রাশিয়ার

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২২ ০৮:৩৭

রুশ যুদ্ধজাহাজ মস্কভাডুবির ঘটনায় প্রথমবারের মতো হতাহতের কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া। এর আগে একটি ভিডিও ফুটেজে মস্কভা থেকে বেঁচে ফেরা নাবিকদের ভিডিও প্রকাশ করেছিল ক্রেমলিন। ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের বিষয়ে এখন পর্যন্ত মন্তব্য করেনি ক্রেমলিন।

কৃষ্ণসাগর ফ্লিটের রাশিয়ার একমাত্র মিসাইল ক্রুজার ও ফ্ল্যাগশিপ মস্কভা সমুদ্রে ডুবে গেছে। ইউক্রেন বলছে, তাদের নিজস্বভাবে তৈরি জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নেপচুনের আঘাতেই এই জাহাজডুবি। তবে রাশিয়া বলছে, জাহাজের অস্ত্রাগারে আগুন লেগে হওয়া বিস্ফোরণেই এই জাহাজডুবি।

তবে যে কারণেই এই জাহাজডুবি হোক না কেন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই প্রথমবারের মতো জাহাজডুবিতে হতাহতের বিষয়টি স্বীকার করেছে।

জাহাজে বিস্ফোরণ ও ডুবে যাওয়ায় ১ জন নৌসেনা নিহত ও ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। বাকি ৩৯৬ জন জাহাজ ত্যাগ করতে পেরেছে।

মস্কভার শেষ পরিণতি

অভ্যন্তরীণ অস্ত্রাগারে বিস্ফোরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রণতরিটি তীরে নোঙর করার সময় সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।

তবে ইউক্রেন দাবি করছে কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন রাশিয়ার ফ্ল্যাগশিপে বুধবার ইউক্রেনীয় সেনাদের দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এ সময় রণতরিতে আগুন ধরে যায়।

এর প্রকৃত সামরিক মূল্যের থেকেও এর সামগ্রিক মর্যাদা বেশি। স্বাভাবিকভাবেই, বর্তমান সামরিক অভিযানে এর খুব একটা ভূমিকা নেই। এটি ডুবে যাওয়াতেও অভিযানের কোনো প্রভাব পড়বে না।

কিয়েভের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো। একই সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীও তাদের দাবির সপক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারেনি।

মস্কভা ডুবে যাওয়ার তাৎপর্য

১২ হাজার ৫০০ টনের আটলান্ট-ক্লাস মিসাইল ক্রুজার এই মস্কভা জাহাজটি রুশ নৌবাহিনীতে সার্ভিস দিয়ে আসছে ১৯৭৯ সাল থেকে। এর মধ্যে রয়েছে ১৬টি অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, টর্পেডো ও গান। কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন আটলান্ট-ক্লাসের এটিই একমাত্র জাহাজ। এ ছাড়া বাকি দুটি মিসাইল ফ্রিগেট ‘মার্শাল উসতিনভ’ ও ‘ভারইয়াগ’ রাশিয়ার নর্দান ও প্যাসিফিক ফ্লিটে মোতায়েন রয়েছে।

দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার (আইওডব্লিউ) বলছে, এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে ইউক্রেনের আঘাতেই মস্কভা ডুবেছে কি না। তবে মস্কভা হারানো সেটা যে কারণেই হোক না কেন, ইউক্রেনের প্রপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য এটি বড় বিজয়।

মস্কভা ডুবে যাওয়া রুশ নৌবাহিনীর আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরাবে।

কিন্তু সামরিক বিবেচনায় মস্কভা ডুবে যাওয়ায় রাশিয়ার যুদ্ধ পরিকল্পনায় খুব একটা ব্যাঘাত ঘটার কথা নয়।

এ জাহাজটি ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন ছিল।

আইওডব্লিউ বলছে, মস্কভা সম্ভবত ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জামকেন্দ্রগুলোতে ও বিমানঘাঁটিগুলোতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে ব্যবহৃত হতো।

এ ধরনের হামলা খুব কাজে দিলেও বিমান হামলা কিংবা ভূমি থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় এর তাৎপর্য খুবই নগণ্য।

রাশিয়ার সামরিক বিশ্লেষক আলেক্সান্ডার খ্রামাচিখিন মস্কভা ডুবে যাওয়াকে মোটেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘জাহাজটি খুবই পুরোনো। প্রায় ৫ বছর আগে থেকেই একে অবসরে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল।

‘এর প্রকৃত সামরিক মূল্যের থেকেও এর সামগ্রিক মর্যাদা বেশি। স্বাভাবিকভাবেই, বর্তমান সামরিক অভিযানে এর খুব একটা ভূমিকা নেই। এটি ডুবে যাওয়াতেও অভিযানের কোনো প্রভাব পড়বে না।’

এ বিভাগের আরো খবর