আফগানিস্তানের কাবুলের একটি স্কুলে বোমা হামলায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত আছেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শিয়া অধ্যুষিত দাশত-ই-বার্চি এলাকার আব্দুল রহিম হাই স্কুলে মঙ্গলবার সকালে এ হামলা হয়। এ সময় পাশের একটি কোচিং সেন্টারেও গ্রেনেড ছোড়া হয়।
হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও, এই এলাকায় আগে কয়েক দফায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আইএস।
প্রাথমিক তদন্ত বলছে, আত্মঘাতী হামলাকারীরা স্কুলের ছাত্র ও কর্মীদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে। তবে কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জারদান বলছেন, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস স্কুলের বাইরে ফেলে গিয়েছিল হামলাকারীরা। বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত হয়েছেন।
‘এটা প্রাথমিক হিসাব। বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় আছি।’
স্কুলে বিস্ফোরণে আহত একজনকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলছে, ডিভাইসগুলো ব্যাকপ্যাকে রাখা ছিল; যার মধ্যে একটি স্কুলের গেটের ভেতর বিস্ফোরিত হয়।
এর আগে কাবুলের মুহম্মদ আলি জিন্নাহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানায়, স্কুলে হামলায় এ পর্যন্ত চারটি মরদেহ পেয়েছেন তারা। আহত হয়ে ভর্তি আছেন ১৯ জন। আরও অনেকে অন্যত্র চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বিস্ফোরণের সময় ছাত্ররা সকালের ক্লাস শেষে বের হচ্ছিল।
দাশত-ই-বার্চি এলাকায় প্রায়ই হাজারা শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় আইএস হামলার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। হাজারা একটি জাতিগত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
স্থানীয়রা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন ছাত্রদের একটি কোচিং সেন্টারে একটি হাতবোমা ছোড়েছে হামলাকারীরা ।
গত আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে গেলে দেশটিতে আইএসের তৎপরতা অনেকটায় কমে আসে।
আইএস গত কয়েক বছরে আফগানিস্তানে শিয়াদের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী অভিযান চালিয়ে আসছে। ক্রীড়া হল, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং শিক্ষাকেন্দ্রে বোমা হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে।
গত মে মাসে দাশত-ই-বারচির মেয়েদের একটি স্কুলে আইএস হামলা চালায়। এতে অন্তত ৯০ ছাত্রী ও কর্মী নিহত হয়।