সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পঞ্চম এবং আকার-আয়তনের দিক দিয়ে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, ব্যাকরণগতভাবে দেখলে, গ্রহটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে না।
দৈত্যাকার বৃহস্পতি গ্রহ নানা বিপর্যয় থেকে আমাদের রক্ষা করে আসছে। পৃথিবী বা অন্য সব ভেতরের দিককার গ্রহের দিকে ছুটে আসা ধূমকেতু কিংবা গ্রহাণু বৃহস্পতির ওপর আছড়ে পড়ে। এতে অকল্পনীয় ক্ষতি থেকে রক্ষা পাচ্ছি আমরা।
সৌরজগতের বাকি সব গ্রহের ভরকে একত্র করলে যে ভর হয়, বৃহস্পতির ভর তার চেয়েও প্রায় আড়াই গুণ বেশি। এই গ্যাসীয় দানব এত বিশাল যে এটি সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে না।
এই বড় আকৃতির কারণে বৃহস্পতি ও সূর্যের মধ্যেকার মহাকর্ষের ভরকেন্দ্রটি সূর্যের মধ্যে থাকে না। এই কেন্দ্রটি সূর্যের পাশে মহাশূন্যের একটি বিন্দুতে অবস্থান করে।
এই দাবির পক্ষে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যখন একটি ছোট বস্তু বড় কোনো বস্তুকে প্রদক্ষিণ করে, তখন দুটি বস্তুর মহাকর্ষের একটি অভিন্ন ভরকেন্দ্রকে ঘিরে এটি প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর মতো ছোট গ্রহের ক্ষেত্রে এই ভরকেন্দ্রটি সূর্যের কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থান করে। আমাদের সৌরজগতের বাকি সব গ্রহ সম্পর্কেও একই কথা বলা যেতে পারে। বুধ, শুক্র, এমনকি শনি; সূর্যের সঙ্গে তাদের ভরকেন্দ্রগুলো সূর্যের গভীরে অবস্থিত।
ব্যতিক্রমী গ্রহ বৃহস্পতি
গ্যাসে ভরা বৃহস্পতি গ্রহটির ভর এতই বিশাল যে সূর্যের সঙ্গে এটির মহাকর্ষের ভরকেন্দ্রটি সূর্যের কেন্দ্র থেকে ঠিক এক দশমিক শূন্য সাত (১.০৭) সৌর ব্যাসার্ধ দূরে অবস্থিত। ফলে সূর্যের বাইরে একটি বিন্দুকে ঘিরে বৃহস্পতি ঘুরছে বললে সেটা সঠিক হবে।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) বলছে, বৃহস্পতি গ্রহের ব্যাস আনুমানিক ১ লাখ ৪৩ হাজার কিলোমিটার। এটি আমাদের সৌরজগতের পরিচিত সব গ্রহকে গ্রাস করতে পারবে অনায়াসেই। প্রায় ১ হাজার ৩০০টি পৃথিবীর জায়গা হবে এ দৈত্যাকার গ্রহে।