২১-২২ এপ্রিল দুই দিনের ভারত সফরে আসছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর আগে দিন তারিখ করেও দুইবার তার সফর বাতিল হয়েছিল।
প্রথমবার ২০২১ সালের প্রথম দিকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্য প্রধান অতিথি হিসেবে বরিসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু সে সময় যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সফরটি বাতিল করা হয়। একই কারণে গত বছরই আরও একবার ভারত সফর বাতিল হয় তার।
বিভিন্ন দপ্তরের বরাতে জানা গেছে, সফরে ভারতের মূল শিল্পে বড় বিনিয়োগ ঘোষণা করবেন বরিস জনসন। এ ছাড়া ‘স্বৈরাচারী’ রাষ্ট্রগুলোর হুমকির মুখে গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে একসঙ্গে থাকার জন্য আহ্বান জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গত মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আগামী দিনে বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) আহমেদাবাদ থেকে এই সফর শুরু হবে নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করে দুই দেশের বাণিজ্য সমৃদ্ধকরণ এবং জনগণের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে। এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের একজন প্রধানমন্ত্রী ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম রাজ্য গুজরাট সফর করবেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ব্রিটিশ-ভারতীয় জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের পৈতৃক বাড়ি ভারতের গুজরাটে।
এ ছাড়া মোদির সঙ্গে কৌশলগত প্রতিরক্ষা, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারি নিয়ে ২২ এপ্রিল দিল্লিতে আলোচনা করবেন বরিস।
যুক্তরাজ্য ও ভারতের শীর্ষ বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হবে, যাতে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সেক্টরকে কেন্দ্র করে চুক্তিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। শীর্ষ বৈঠকে স্বাভাবিকভাবেই রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিয়েও আলোচনা হবে।