ভারতের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক’ সম্পর্ক চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থপূর্ণ আলোচনার’ মাধ্যমে এটি অর্জন করা যেতে পারে।
ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবারের একটি চিঠিতে শরিফ আরও বলেছেন যে পাকিস্তান ‘আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ শরিফের সঙ্গে টুইটারে বার্তা বিনিময়ের পরপরই প্রধানমন্ত্রী মোদি কয়েকদিন আগে চিঠি লিখেছিলেন তাকে। তার চিঠিতে মোদি ‘গঠনমূলক তৎপরতার’ আহ্বান জানিয়েছিলেন।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার পরে বালাকোট বিমান হামলা এবং সেই বছরের আগস্টে ৩৭০ ধারার অধীনে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। দুই দেশ হাইকমিশনে কর্মী সংখ্যা কমিয়েছে এবং একে অপরের রাজধানীতে কোনো পূর্ণকালীন হাইকমিশনার নেই।
১১ এপ্রিল, শেহবাজ শরিফ কাশ্মীর সমস্যা মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদিকে এগিয়ে আসতে বলেন যাতে দুই দেশ দারিদ্র্য এবং বেকারত্ব মোকাবিলায় মনোনিবেশ করতে পারে। এর কয়েকঘণ্টা পরেই মোদি টুইট বার্তায় তাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে ভারত এই অঞ্চলে সন্ত্রাসমুক্ত শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়।
এর প্রতিক্রিয়ায় শাহবাজ শরিফ টুইট করেন ‘পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায়। জম্মু ও কাশ্মীরসহ অমীমাংসিত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অপরিহার্য। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের আত্মত্যাগ সর্বজনবিদিত। আসুন শান্তি সুরক্ষিত করি এবং আমাদের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করি।’
শাহবাজ শরিফের দায়িত্ব নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াদিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য ‘সতর্ক আশাবাদী’ নজর রাখছে ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরের ঘটনাবলীর গতিপ্রকৃতির ওপর।