ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের ওপর যে প্রভাব পড়েছে, তার আঁচ লেগেছে পাকিস্তানেও। দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব এসেছে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে; কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছেন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছেন তিনি।
সরকারের শরিক দলগুলোর সঙ্গে শুক্রবার এক ইফতার পার্টিতে শাহবাজ জ্বালানির দাম অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা দেন বলে দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পাকিস্তান তেল-গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ওগরা) প্রস্তাবের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেছেন, এসব পণ্যের দাম বাড়ানো হলে জনগণ অভিশাপ দেবে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, জ্বালানির দাম না বাড়লেও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে পাকিস্তানে। দেশটির ন্যাশনাল ইলেকট্রিক পাওয়ার রেগুলেটরি অথরিটি (নেপ্রা) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮ রুপি।
এর মধ্য দিয়ে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে বাড়ল বিদ্যুতের দাম।
ইফতার পার্টিতে জ্বালানির প্রসঙ্গ তুলে শাহবাজ বলেন, প্রতি ১৫ দিনে একবার জ্বালানির দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তেল-গ্যাসে প্রতি লিটারে ২১ ও ৫০ রুপি দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তারা।
দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে শাহবাজ বলেন, আগের সরকার কী করেছে তার সবই জানে জনগণ।
রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, তেল-গ্যাস আমদানিতে যে অতিরিক্ত খরচ হবে তা সরকার বহন করবে বলে জানান নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। জ্বালানির দাম বাড়ছে না বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ও।
এতে বলা হয়েছে, ওগরা পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ওগরা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী এসব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যানুযায়ী, পাকিস্তানে এখন প্রতি লিটার পেট্রোল ১৪৯ দশমিক ৮৬ রুপি এবং ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ দশমিক ১৫ রুপিতে। আর কেরোসিন ও হালকা ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ দশমিক ৫৬ রুপি এবং ১১৮ দশমিক ৩১ রুপিতে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তার পর অনাস্থা ভোটে ইমরান খানকে বিদায় করে দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। গত ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।