বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রুশ রণতরীতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি ইউক্রেনের

  •    
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ১২:৪২

আটলান্ট-ক্লাস মিসাইল ক্রুজার এই মস্কভা জাহাজটি রুশ নৌবাহিনীতে সার্ভিস দিয়ে আসছে ১৯৭৯ সাল থেকে। এর মধ্যে রয়েছে ১৬টি এন্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, টর্পেটো ও গান। কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন এ জাহাজটি ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ করে আসছে।

ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি রাশিয়ার নৌবাহিনীও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে রাশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী জাহাজ মস্কভাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাদের সেনারা।

আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন রাশিয়ার ফ্ল্যাগশিপ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সক্ষম ক্রুজার ‘মস্কভাতে’ থাকা অস্ত্রগুদামে বিস্ফোরণ হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগুন থেকে এই বিস্ফোরণের সূত্রপাত। আগুন লাগার পর নাবিকদের নিরাপদে বের করে আনা সম্ভব হলেও বিস্ফোরণে জাহাজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একটি তদন্তদল এরই মধ্যে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছে।

ইউক্রেন দাবি করছে, বুধবার তাদের দুটি নেপচুন এন্টি-শিপ মিসাইল মস্কভাতে আঘাত হেনেছে। যদিও এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি কিয়েভ।

ইউক্রেনের দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ক্রেমলিন।

মারিওপোল অবরোধের ক্ষেত্রে কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন রাশিয়ার ফ্লিটের প্রধান যুদ্ধজাহাজ মস্কোভা এর আগে সিরিয়া সংঘাতের সময়ও মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন ছিল।

আটলান্ট-ক্লাস মিসাইল ক্রুজার এই মস্কভা জাহাজটি রুশ নৌবাহিনীতে সার্ভিস দিয়ে আসছে ১৯৭৯ সাল থেকে। এর মধ্যে রয়েছে ১৬টি এন্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, টর্পেটো ও গান। কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন এ জাহাজটি ফেব্রুয়ারির শুরুর থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ করে আসছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর