প্রাকৃতিক বা মানুষের সৃষ্ট নানা কারণে বিলুপ্তির হুমকিতে আছে অনেক প্রাণি। পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা প্রাণিদের তালিকায় ওপরের দিকে কোয়ালা।
অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক সম্প্রতি দাবি করেছেন, মার্সুপিয়াল প্রজাতির প্রাণিদের অস্তিত্ব রক্ষার উপায় খুঁজে পেয়েছেন তারা। বলছেন, তাজা বা হিমায়িত শুক্রাণুর মাধ্যমে সুস্থ কোয়ালা শাবকের জন্ম দেয়াতে সফল হয়েছেন তারা।
মার্সুপিয়াল হল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের একটি বড় দল। ব্যান্ডিকুট, কোয়ালা, মার্সুপিয়াল, ক্যাঙ্গারু থেকে শুরু করে প্রায় ৩০০টি প্রজাতি আছে এই গোত্রের। মার্সুপিয়াল গোত্রের বেশির শাবক মায়ের শরীরে একটি থলিতে বাড়তে থাকে। অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকায় এদের দেখে মেলে।
নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর ল্যাচলান হাওয়েল বলেন, ‘হিমায়িত শুক্রাণু ব্যবহার করে আমরা কোয়ালাগুলোকে স্থানান্তরিত না করেই বন্য কোয়ালার মধ্যে জিনগত বৈচিত্র্যকে পুনঃপ্রবর্তন করতে পেরেছি।
‘আমরা অস্ট্রেলিয়াজুড়ে ১৬টি বন্যপ্রাণী হাসপাতাল এবং চিড়িয়াখানা চিহ্নিত করেছি। এগুলো কোয়ালার শুক্রাণু সংগ্রহে আমাদের সাহায্য করবে।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা কোয়ালার শুক্রাণু সংরক্ষণের জন্য একটি বায়োল্যাব স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন।
তারা বলছেন, প্রজনন প্রকল্পের অংশ হিসেবে বায়োল্যাবে এগুলোর জিনগত বৈচিত্র্যতার ওপর কাজ করা হবে।
বিজ্ঞানী রায়ান উইট বলেন, ‘প্রস্তাবগুলো অন্তঃপ্রজনন ঠেকাতে একটি কার্যকর উপায়। এর খরচও কম। ছোট জায়গায় কোয়ালার জিনগত বৈচিত্র্য জানতে এটি সহায়তা করবে।’
দাবানলের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কয়েক হাজার কোয়ালার মৃত্যু হয়েছে। উইট বলেন, ‘দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো বিমানীতি নেই। এই দুর্যোগ বিপুল প্রাণীকে নিশ্চিহ্ন করার হুমকিতে রেখেছে।
‘যদি কোয়ালা এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডে মারা যায়, তবে তাদের ফিরিয়ে আনা বা তাদের জিন সংরক্ষণ করার কোনো উপায় থাকবে না।’