ইউক্রেন জৈব অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ জানিয়ে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও এবার রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও দেশটির নিরাপত্তা কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেনে জৈব যুদ্ধের গবেষণাগার অগ্রহণযোগ্য।
একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, জৈব গবেষণাগারগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে জৈব অস্ত্র নিয়ে গবেষণা করত ইউক্রেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওবার্তায় মেদভেদেভ বলেন, ভয়াবহ জীবাণু ধ্বংস করতে ইউক্রেনের গবেষণাগারগুলো বানানো হয়নি। একই সঙ্গে রাশিয়া এ ধরনের কার্যকলাপকে অগ্রহণযোগ্য ও একই সঙ্গে মানবতার জন্য হুমকি হিসেবে মনে করে।
তবে রাশিয়ার দাবি আগেই প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান অ্যাভরিল হেইন্স। এ ছাড়া সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটিকে দেয়া বক্তব্যে হেইন্স বলেন, ‘আমরা মনে করি না ইউক্রেন কোনো জৈব, রাসায়নিক অস্ত্র বা পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করছে।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছিলেন, ‘ইউক্রেনে কোনো রাসায়নিক বা জৈব গবেষণাগার পরিচালনা করে না যুক্তরাষ্ট্র। এই ধরনের কোনো অস্ত্রও তারা কোথাও তৈরি করছে না।’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকিও রাশিয়ার অভিযোগকে মিথ্যা ও প্রপাগান্ডা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।