বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ নয়, তালেবানকে আলেমরা

  •    
  • ১০ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:০০

আফগানিস্তানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ দূত টমাস নিকলাসন কদিন আগেই নারী ইস্যুতে তালেবান সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। এবার আফগানিস্তানের ধর্মীয় নেতারা ইসলামের নানা ব্যাখ্যা তুলে বলেছেন, নারী শিক্ষা ইসলামে কোনোভাবেই নিষিদ্ধ নয়। তালেবান যেন অবিলম্বে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয়।

আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুল পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। ‘ন্যাশনাল ডায়ালগ অফ আফগান স্কলার’ শিরোনামে আয়োজিত এক সমাবেশে এ আহ্বান জানান কারজাই।

তিনি জানিয়েছেন, ধর্মীয় গুরুদের আহ্বানকে সম্মান জানানো উচিত তালেবানের। এটা জাতির দাবি।

কারজাইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী শাহজাদা মাসুদ বলেন, ‘হামিদ কারজাইয়ের আহ্বান আফগানিস্তানের জনগণের আহ্বান; মেয়েদের শিক্ষা এবং ইসলামে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই আহ্বান জানানো হয়েছে।’

ধর্মীয় পণ্ডিতরা বলছেন, ষষ্ঠ শ্রেণির ওপরে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়ার আইনগত যৌক্তিকতা নেই।

গত ১৫ আগস্ট কাবুল পতনের পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা ২০ বছর পর ফিরে পায় তালেবান। শুরুর দিকে উদারনীতিতে দেশ পরিচালনার বুলি আওড়ালেও ক্ষমতা পোক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোল পাল্টায় তালেবান।

নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধের পাশাপাশি সরকারে রাখা হয়নি কোনো নারীকে। সেই থেকে ২০০ দিনের বেশি সময় ধরে সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ আছে। সবশেষ নারীদের ঘরের বাইরে একা বেরোতে নিষেধ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

এসব কর্মকাণ্ডে ফের আন্তর্জাতিক মহলের নজরে আসে তালেবান। অনেকেই ধারণা করছে, ৯০ দশকের সেই উগ্রপন্থায় ফিরছে, ভোল পাল্টে ক্ষমতায় আসা তালেবান।

নারীদের অধিকার রক্ষায় দুই মাস ধরে তালেবানের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বনেতারা। আফগানিস্তানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ দূত টমাস নিকলাসন কদিন আগেই নারী ইস্যুতে তালেবান সরকারের কড়া সমালোচনা করেন।

নিকলাসন বলেন, ‘আফগান জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। আফগান মেয়েদের শিক্ষায় যোগদানের অধিকার কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে ধর্মীয় নেতারা ১৫টি নীতি নিয়ে একটি প্রস্তাব প্রকাশ করেছেন। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, মেয়েদের শিক্ষা ইসলামিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে নয়।

মাওলাভি ওয়াহিদ আহমাদ নামে একজন আলেম বলেন, ‘ইসলামে মেয়েদের শিক্ষা প্রশ্নে দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পার্থক্য নেই।’

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, মেয়েদের স্কুলে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি সরকারের (তালেবান) হাতে। এখানে তাদের কিছুই করার নেই।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আজিজ আহমদ রিয়ান বলেন, ‘যারা ষষ্ঠ গ্রেডের ওপরে, তাদের জন্য স্কুল পুনরায় খোলার বিষয়টি ইসলামি আমিরাতের নেতৃত্বের বিষয়। যখনই নেতৃত্ব স্কুল পুনরায় খোলার নির্দেশ দেবে, আমরা প্রস্তুত।’

আফগানিস্তান ফিউচার থট ফোরাম বলছে, ষষ্ঠ শ্রেণির ঊর্ধ্বে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বন্ধ করার বিষয়টি উদ্বেগজনক। স্কুলগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে তালেবানকে।

ফোরামের প্রধান ফাতিমা গাইলানি বলেন, ‘আমি আশা করি মেয়েদের জন্য শিগগিরই স্কুলগুলো ফের চালু করা হবে। কারণ প্রতিটি দিনই তারা তাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হারাচ্ছে।’

নারী অধিকার কর্মী তাফসিরা সিহপোশ বলেন, ‘আফগান শিশু ও মেয়েদের অধিকারের কথা তাদের (তালেবান) বিবেচনা করতে হবে। মেয়েদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে দেয়া উচিত।

এ বিভাগের আরো খবর