যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসনের নিয়োগ অনুমোদন করেছে সিনেটে। আর এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২৩৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে বিচারকের আসনে বসতে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ৫১ বছর বয়সী জ্যাকসনের নিয়োগ অনুমোদন করে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্যাকসনের নিয়োগ অনুমোদনের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আলোচিত একটি নির্বাচনি প্রতিশ্রতি পূরণ হলো।
বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির তীব্র আপত্তির পরও ৫৩-৪৭ ভোটে তাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বিচারপতি স্টিফেন ব্রায়ার জুনে অবসরে যাচ্ছেন। তার পদে স্থলাভিষিক্ত হবেন জ্যাকসন।
সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর চাক শুমার বলেন, ‘সবচেয়ে আঁধার কালো সময়েও উজ্জ্বল আলোর দেখা মিলতে পারে। আজ তেমন এক আলোকিত দিন। আসুন সবাই মিলে প্রত্যাশা করি, যেন এটি একটি প্রতীক হয়ে থাকে, আরও অনেক উজ্জ্বল আলো আসার একটি ইঙ্গিত হয়ে ওঠে।’
ভোটের ফল ঘেষণার পর সিনেটর, কর্মী ও দর্শনার্থীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। তারা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে জ্যাকসনের প্রতি সম্মান জানান।
তবে তেমন খুশি হতে পারেননি রিপাবলিকানরা। সিনেটে সংখ্যালঘিষ্ঠ দলের নেতা রিপাবলিকান সিনেটর মিচ ম্যাককোনেল ভোটের ফল ঘোষণার পরপরই পেছনে ঘুরে ধীর পদক্ষেপে সিনেট চেম্বার থেকে বেরিয়ে যান, বেশির ভাগ রিপাবলিকান সিনেটর তাকে অনুসরণ করেন।
জ্যাকসনের নিয়োগের পক্ষে যে তিন রিপাবলিকান সিনেটর ভোট দিয়েছেন তারা হলেন মেইনের সেনস সুজান কলিন্স, আলাস্কার লিসা মুনকোভিস্কি ও উটাহর মিট রমনি।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট রুমে বসে বাইডেন ও জ্যাকসন টেলিভিশন স্ক্রিনে সিনেটের ভোটাভুটি দেখেন। ফল ঘোষণার পর তারা টেলিভিশনের সামনে দাঁড়িয়ে পরস্পরকে আলিঙ্গন করেন ও সেলফি তোলেন।