বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পশ্চিমাদের টার্গেট এবার পুতিন ঘনিষ্ঠরা

  •    
  • ৭ এপ্রিল, ২০২২ ০১:১১

যুক্তরাষ্ট্র কেন পুতিনের মেয়েদের টার্গেট করছে জানতে চাইলে বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাবার (পুতিনের) কিছু সম্পদের মালিকানা তাদের হাতে রয়েছে বলে মনে করছে হোয়াইট হাউস।’

ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ চালানোর দায়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছের লোকজন। নতুন তালিকায় আছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভের পরিবার। রাশিয়ার কয়েকটি প্রভাবশালী ব্যাংকের ওপরও দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে বুচা শহরের রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের মরদেহের ছবি প্রকাশের পরপরই এই ব্যবস্থা নিল ওয়াশিংটন

রাশিয়া অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ক্রেমলিন বলছে, প্রমাণ ছাড়াই ছবিগুলো মঞ্চস্থ করেছে কিয়েভ কর্মকর্তারা। যদিও স্যাটেলাইট থেকে নেয়া ছবি কিয়েভ কর্তৃপক্ষের দাবির পক্ষে। যেখানে দেখা গেছে, বুচা শহর দখলে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে রুশ সেনারা।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বুধবার এই ঘটনাটিকে ‘কিয়েভ শাসনকদের নিষ্ঠুর উসকানি’ বলে বর্ণনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, পুতিনের দুই মেয়ে কাতেরিনা ভ্লাদিমিরোভনা তিখোনোভা এবং মারিয়া ভ্লাদিমিরোভনা ভোরোন্টোভার সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। কারণ তারা দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক।

পুতিনের মেয়ে কারা

ওয়াশিংটন বলছে, তিখোনোভা একজন টেক এক্সিকিউটিভ। তিনি রুশ সরকারের হয়ে কাজ করছেন। এ ছাড়া পুতিনের আরেক মেয়ে ভোরোন্টোভা রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

যুক্তরাষ্ট্র কেন পুতিনের মেয়েদের টার্গেট করছে জানতে চাইলে বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাবার (পুতিনের) কিছু সম্পদের মালিকানা তাদের হাতে রয়েছে বলে মনে করছে হোয়াইট হাউস।’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মেয়ে কাতেরিনা ভ্লাদিমিরোভনা তিখোনোভা। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘আমাদের এই বিশ্বাসের অনেক কারণ আছে। পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনরা সম্পদ লুকিয়ে রাখেন। তাদের পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে এই সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ব্যবস্থায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়। কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই না, বিশ্বের অনেক জায়গায় এমনটা করে আসছে তারা।

‘আমরা বিশ্বাস করি, পুতিনের অনেক সম্পদ পরিবারের সদস্যদের কাছে লুকানো আছে এবং সে কারণেই আমরা তাদের লক্ষ্যবস্তু করছি।’

হোয়াইট হাউসের নতুন নিষেধাজ্ঞায় যা রয়েছে

  • রাশিয়ার নতুন বিনিয়োগ নিষিদ্ধ।
  • রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাংক আলফা এবং বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান এসবার ব্যাংকের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা।
  • গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
  • রাশিয়ার সরকারি কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা।

ইতোমধ্যে আট অলিগার্ক (রুশ ধনকুবের) এবং রাশিয়ান ব্যাংকগুলোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এসবের মধ্যে আছে এসবার ব্যাংক এবং ক্রেডিট ব্যাংক অফ মস্কো। ইউক্রেনে ‘যুদ্ধাপরাধের’ দায়ে রাশিয়া থেকে কয়লা আমদানি বন্ধের আভাস দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, তিনি আর কোনো সিদ্ধান্তহীনতা সহ্য করতে পারবেন না।

আইরিশ পার্লামেন্টে বুধবার ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউরোপে এখনও এমন কিছু লোককে বোঝানোর প্রয়োজন আছে যারা বিশ্বাস করেন 'যুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ' আর্থিক ক্ষতির মতো বড় কিছু নয়। তাই তারা নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটতে চান না।

জার্মানিসহ কিছু ইউরোপীয় রাষ্ট্র রাশিয়ান জ্বালানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তাই তারা সরাসরি এই খাতকে লক্ষ্যবস্তু করতে রাজি ছিল না।

তবে সময়ের সঙ্গে অবস্থান পাল্টাচ্ছেন তারা। রাশিয়ান কয়লা আমদানির ওপর ইউরোপীয় কমিশনের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাস নিয়ে সংশয় নেই। ইউরোপ প্রতি বছর মস্কো থেকে প্রায় ৪.৪ বিলিয়ন ডলারের কয়লা কেনে।

ইউরোপীয় সদস্য রাষ্ট্রগুলো চারটি রাশিয়ান ব্যাংকের ওপর ‘সম্পূর্ণ লেনদেন নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ ছাড়া কাঠ, সিমেন্ট, সামুদ্রিক খাবার, অ্যালকোহলসহ অন্যান্য রাশিয়ান ও বেলারুশিয়ান পণ্য আমদানিতেও শিগগিরই নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেন, রাশিয়ান জাহাজের জন্য ইইউ বন্দরগুলো বন্ধ করতে চাইছি। এই অঞ্চল থেকে রাশিয়ান এবং বেলারুশিয়ান সড়ক পরিবহন সংস্থাগুলোকেও সরিয়ে দিতে চাই। ইউক্রেনে পুতিন যা করছেন তার জন্য তাকে সর্বোচ্চ চাপে রাখতে হবে।’

লিথুয়ানিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস অবশ্য ইইউ’র প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের সমালোচনা করেছেন। এটিকে তুচ্ছ প্রতিক্রিয়া বলে অভিহিত করেছেন তিনি। আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এসব পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও উত্যপ্ত করে তুলতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর