বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পতনের মুখে ইউক্রেনের মারিওপোল

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:৪২

ইউক্রেন সরকারের বিরোধী পক্ষ ও রাশিয়াপন্থি দলের স্থানীয় কাউন্সিলর কোস্তিয়ানতিন ইভাশ্চেঙ্কোকে শহরের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছে মস্কোপন্থি দল।

ইউক্রেনে রশিয়ার সামরিক অভিযানের শুরুর দিকেই দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিওপোল অবরোধ করে রুশ সেনারা। পাল্টা জবাব দিলেও অবরোধ ভাঙতে পারেনি ইউক্রেনের সেনারা। এরই মধ্যে কয়েকদফা আলোচনার মাধ্যমে শহর থেকে অনেক বেসামরিক নাগরিক বেরিয়ে গেলেও এখনও ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি বাসিন্দা শহরে আটকা পড়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে মারিওপোল শহরের পতন সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে। রিপাবলিক ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রাশিয়ার প্রদেশ চেচনিয়ার প্রধান রমজান কাদিরভ টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্মের একটি পোস্টে দাবি করেছেন, মারিওপোলে ইউক্রেন নৌবাহিনীর ৩৬ স্বতন্ত্র মেরিন ব্রিগেডের ৫০৩ ব্যাটেলিয়নের প্রায় ২৬৭ সেনা রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

সে পোস্টে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা (আত্মসমর্পণ) সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে এবং রাশিয়ার কাছে তারা সম্পূর্ণ নিরাপদ। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলো রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রমজান কাদিরভের দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইউক্রেনীয় সেনা ও বিদেশী ভাড়াটে সৈনিকদের নিরাপদে শহর ত্যাগের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যেসব সেনারা মারিওপোল শহর ত্যাগ করতে চায়, তারা চাইলে অস্ত্র ত্যাগ করে যেতে পারে। এমনকি অস্ত্র ত্যাগকারী সেনাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও দেয়া হয়েছে মস্কোর পক্ষ থেকে। যদিও এমন প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে ইউক্রেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, নিজেদের সেনাদের জীবন বাঁচানোর ব্যাপারে আগ্রহী নয় কিয়েভ।

এমন পরিস্থিতিতে দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া এরই মধ্যে মারিওপোলের মেয়র হিসেবে মস্কোপন্থি একজনকে ঠিক করে ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউক্রেন সরকারের বিরোধী পক্ষ ও রাশিয়াপন্থি দলের স্থানীয় কাউন্সিলর কোস্তিয়ানতিন ইভাশ্চেঙ্কোকে শহরের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছে মস্কোপন্থি দল।

বর্তমানে ইউক্রেনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনরত ভাদিম বয়চেঙ্কো বলেছেন, মারিওপোলের বর্তমান পরিস্থিতি ‘মানবতার বিপর্যয়েরও বাইরে’।

এর আগে বয়চেঙ্কো বলেছিলেন, রুশ হামলায় শহরের ৯০ শতাংশ আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে ও শহরের ৫ হাজার বাসিন্দা নিহত হয়েছে।

ইউক্রেনের মারিওপোল বন্দর

কেন গুরুত্বপূর্ণ মারিওপোল

রাশিয়ার জন্য মারিওপোলের দখল নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ শহর দখল নিতে পারলে রুশ অধ্যুসিত ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলের সঙ্গে ক্রিমিয়ার সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে, যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট ফোর্স কমান্ডের সাবেক কমান্ডার জেনারেল স্যার রিচার্ড ব্যারনস এমনটাই মনে করেন।

এ ছাড়াও মারিওপোল যদি দখল করা সম্ভব হয় কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের উপকূলের ৮০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে। ফলে সমুদ্র পথে ইউক্রেনের বাণিজ্য পথ বন্ধ হবে দেশটি বিশ্ব থেকে সমুদ্র পথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। আজভ সাগরের তীরবর্তি ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর মারিওপোলে অবস্থিত। এই পথ দিয়েই দেশটি মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে স্টিল, কয়লা ও ভুট্টা রপ্তানি করে।

এ বিভাগের আরো খবর