ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। এরই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে বুচাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার অভিযোগ এনেছে ইউক্রেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বুচার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, রাশিয়াতে নতুন বিনিয়োগ বন্ধ করতে দেশটির আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ক্রেমলিনের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।
এ ছাড়া পুতিনের দুই কন্যা ও রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক সেবারনেকব্যাংকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ার ওপর পঞ্চমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের বিষয়টি বিবেচনা করছে। ইইউর এবারের নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার কয়লা রপ্তানি ও ইইউ বন্দরে নোঙর করতে চাওয়া রুশ বাণিজ্যিক জাহাজ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান। এরপর থেকেই পশ্চিমারা দেশটির ব্যাংকিং সিস্টেম, সরকারি কর্মকর্তা ও অলিগার্কদের লক্ষ্য করে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে।
এমন কি বৈশ্বিক ব্যাংকিং সিস্টেম সুইফট থেকেও বের করে দেয়া হয়েছে রাশিয়াকে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ছোট বন্দরগুলোতে রুশ মালিকানাধীন বহু ইয়র্ট জব্দ করা হয়েছে। রাশিয়ার পতাকাবাহী এয়ারলাইনসের ওপরও দেয়া হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা।
তবে জ্বালানি তেল ও গ্যাসকে কাজে লাগিয়ে পাল্টা জবাব দেয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়াও। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফলতাও অর্জন করতে পেরেছে দেশটি। এরই মধ্যে রুশ মুদ্রা রুবলের পতন ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।