বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুইজারল্যান্ড নয়, ইসরায়েল হবে ইউক্রেন: জেলেনস্কি

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:১৭

ইউক্রেনকে নিরাপত্তা দানের নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য কয়েকটি দেশ থাকতে হবে, যারা ভবিষ্যতে রুশ সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো শর্ত ছাড়া ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করবে ও তিন দিনের মধ্যে রাশিয়ার সব কিছু বন্ধ করে দেবে।

ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। রাশিয়াকে সামরিক অভিযান থেকে বিরত রাখতে দেশটিকে বহু নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনছে পশ্চিমারা। এখনও ইউক্রেন থেকে সরেনি রুশ সেনারা। রাশিয়া চায়, ইউক্রেনের অসামরিকীকরণ এবং সুইজারল্যান্ডের মতো নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ভূমিকা পালন করুক ইউক্রেন।

জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষের পর সুইজারল্যান্ড নয়, বরং ইসরায়েলের মতো নিজেকে সাজাবে ইউক্রেন।

তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, আমাদের দেশের সব লোকেরাই হবে এক মহান সেনাবাহিনী। আমরা ভবিষ্যতে ‘সুইজারল্যান্ড মডেল’ নিয়ে আর কথা বলতে পারি না। কিন্তু অবশ্যই আমাদের দেশের আকৃতিতে ‘একটি বিশাল ইসরায়েল’ হব।

“আমাদের সমস্ত প্রতিষ্ঠান, সুপারমার্কেট, সিনেমায় সশস্ত্র বাহিনী বা ন্যাশনাল গার্ডের প্রতিনিধি থাকবে। সেখানে অস্ত্রধারী মানুষ থাকবে। আমি নিশ্চিত আগামী ১০ বছর নিরাপত্তাই হবে আমাদের এক নম্বর ইস্যু।”

ইউক্রেনকে নিরাপত্তাদানের নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য কয়েকটি দেশ থাকতে হবে, যারা ভবিষ্যতে রুশ সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো শর্ত ছাড়া ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করবে ও তিন দিনের মধ্যে রাশিয়ার সব কিছু বন্ধ করে দেবে।

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, তুরস্ক, পোল্যান্ড, ইতালি ও ইসরায়েলের সঙ্গে উপদেষ্টা ও উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই আগ্রহী।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি

এর আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য দানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। সে সময় তিনি রাশিয়াকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। যদিও রাশিয়া তা অস্বীকার করেছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

আমাদের সমস্ত প্রতিষ্ঠান, সুপারমার্কেট, সিনেমায় সশস্ত্র বাহিনী বা ন্যাশনাল গার্ডের প্রতিনিধি থাকবে। সেখানে অস্ত্রধারী মানুষ থাকবে। আমি নিশ্চিত আগামী ১০ বছর নিরাপত্তাই হবে আমাদের এক নম্বর ইস্যু।

ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর