উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বাহিনী ঠিক কোন পরিস্থিতিতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের বিষয়টি বিবেচনা করবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে পিয়ংইয়ং-এর পক্ষ থেকে।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন ও তার প্রধান উপদেষ্টা কিম ইয়ো জং বলেছেন, যদি দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের দেশ আক্রমণ করে তাহলে পরমাণু বাহিনী সেই আক্রমণের জবাব দেবে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন ও তার প্রধান উপদেষ্টা কিম ইয়ো জং
কেসিএনএকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যদি দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের পথ বেছে নেয়, তাহলে আমাদের পারমাণবিক যুদ্ধ বাহিনী অবিলম্বে তার মিশন পরিচালনা করতে বাধ্য হবে।‘
কিম ইয়ো জং আরও বলেন, ‘সিউল অকল্পনীয় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে যদি তারা আমাদের এক ইঞ্চি ভূমিও লঙ্ঘন করে।‘
তবে তিনি দাবি করেন, এটি কোনো হুমকি নয়। পিয়ংইয়ং তার প্রতিবেশীর ‘বেপোরোয়া’ কর্মকান্ডের কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তার একটি ব্যাখ্যা মাত্র।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী গত সপ্তাহে পিয়ং ইয়ং-এর বিরুদ্ধে হামলার বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সিউলের নির্ভুল অস্ত্র উত্তরে যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত ও দ্রুত আঘাত হানতে পারে। ’
তার এই হুমকির প্রেক্ষাপটে সর্বশেষ তিন দিনের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে দ্বিতীয়বারের মত সতর্ক বার্তা দেয়া হল।
কিম ইয়ো জং বলেন, ‘একটি পারমানবিক রাষ্ট্রের ওপর আগাম হামলা খুবই বুনো স্বপ্ন।‘
পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রসহ পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হলেও উত্তর কোরিয়ার মত পারমাণবিক অস্ত্র নেই দক্ষিণ কোরিয়ার। দক্ষিণ কোরিয়া সাধারণত উত্তর কোরিয়াকে হুমকি দিয়ে কোনো বার্তা দেয় না। কিন্তু সর্বশেষ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী উত্তর কোরিয়ার নাম উল্লেখ করে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন।
যদি দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের পথ বেছে নেয়, তাহলে আমাদের পারমাণবিক যুদ্ধ বাহিনী অবিলম্বে তার মিশন পরিচালনা করতে বাধ্য হবে।
যার প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়াও পারমাণবিক হামলার রেডলাইন প্রকাশ করেছে।
উত্তর কোরিয়ার শুধু পারমাণবিক অস্ত্রই নয়, দেশটির রয়েছে আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এ ছাড়াও দেশটি দাবি করে থাকে যে, তাদের কাছে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।