বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসরায়েলে হামলার তীব্র নিন্দা এরদোয়ানের

  •    
  • ২ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:১৮

এ বছরের মার্চের শুরুর দিকেই ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ তুরস্ক সফরে যান। এ সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ সময় দুই দেশের নেতা এক যৌথ বিবৃতিতে সম্পর্কের এক নতুন যুগের সূচনা করেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজেক হারজগের সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি এই নিন্দা জানান।

জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হারজগের সঙ্গে ফোনালাপে হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন এরদোয়ান।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এই সমবেদনা এমন সময় এলো যখন তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট দেশটির ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের সম্পর্কে উষ্ণতা সৃষ্টিতে উভয় দেশই আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বছরের মার্চের শুরুর দিকেই ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ তুরস্ক সফরে যান। এ সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ সময় দুই দেশের নেতা এক যৌথ বিবৃতিতে সম্পর্কের এক নতুন যুগের সূচনা করেন।

এরদোয়ান প্যালেসের সামনে তুরস্ক ও ইসরায়েলের পতাকা হাতে দুই অশ্বারোহী। ছবি: সংগৃহীত

এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হলে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট ফোন করে তার খোঁজখবর নেন ও আরোগ্য কামনা করেন।

এর আগে বেশ কয়েক বছর ধরেই ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। বিশেষ করে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করার পর থেকেই ইসরায়েল বিরোধিতায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান কোনো রাখঢাক রাখেননি।

সম্প্রতি দুই দেশ পূর্বেকার বিরোধ ভুলে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছে এবং নতুন করে দুই দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চলছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বরাবরই বলে আসছেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতা ও ইসরায়েলের সঙ্গে জ্বালানিসংক্রান্ত বিষয়ে তুরস্কের একই স্বার্থ রয়েছে। এমনকি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটেরও আগ্রহ আছে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য।

এ ছাড়া গত নভেম্বরে তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তর জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের বিকল্প নেই। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সংকট সমাধানে সমঝোতার উদ্দেশ্যে আলোচনা হলে মতবিরোধ কমানো সম্ভব।

যদিও এর আগে সব সময় ফিলিস্তিনের সরব সমর্থক তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েল সন্ত্রাসী আচরণ চাপিয়ে দিচ্ছে বলে প্রায়ই অভিযোগ করে আসছিলেন তিনি।

এ নিয়ে তুরস্ক ও ইসরায়েলের সম্পর্ক বরাবরই তিক্ত ছিল। বিশেষ করে ২০১৮ সালে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের হত্যার পর দুই দেশই তাদের রাষ্ট্রদূত ফিরিয়ে নেয়।

পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালে আবারও উফুক উলুতাসকে রাষ্ট্রদূত করে পাঠায় তুরস্ক।

এ বিভাগের আরো খবর