ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ঘিরে রাখা রুশ সেনাদের বড় একটি অংশ সরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছে ক্রেমলিন (রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)। মস্কো বলছে, শান্তি আলোচনার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ফোমিন মঙ্গলবার বলেন, ‘শান্তি আলোচনা ফলপ্রসূ করতে কিয়েভ এবং চেরনিগভ থেকে সামরিক তৎপরতা কমানো হয়েছে। আমরা আশা করি, কিয়েভ উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আর তাহলেই সামনের দিনগুলোতে তাদের সঙ্গে কাজ করা সহজ হবে।’
যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে মানবিক আচরণসহ জেনেভা কনভেনশনের শর্তগুলো মেনে চলতে ইউক্রনের প্রতি আহ্বান জানান রুশ প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী ফোমিন।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা এবং অ-পারমাণবিক অবস্থার বিষয়ে একটি চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা হবে। এই পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি বাস্তব রূপ পাবে।’
ফোমিন বলেন, ‘পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করে চুক্তিতে পৌঁছানো আমাদের লক্ষ্য। ইস্তাম্বুল থেকে ফিরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন সেনাপ্রধান।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর দুদিন আগে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
কিয়েভের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনের অভিযোগ, ঘরের পাশের দেশ ইউক্রেন পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিলে তা রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। সে জন্য ইউক্রেনকে যে কোনো উপায়ে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো থেকে ইউক্রেনকে দূরে রাখতে মরিয়া রাশিয়া।