বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য তুরস্কে ইউক্রেন প্রতিনিধিদল

  •    
  • ২৯ মার্চ, ২০২২ ১২:১৫

ইউক্রেন বলছে, ইস্তাম্বুলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় তাদের প্রধান অগ্রাধিকার হলো যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা, যদিও এটি সম্ভব কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। রাশিয়া চায়, ন্যাটোতে যোগ না দিয়ে নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করুক ইউক্রেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপোষ করতে রাজি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।

তুরস্কের পতাকাবাহী একটি বিমানে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল। উচ্চপর্যায়ের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রজনিকভ ও প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান মিখাইল পোডোলিয়াক।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন বলছে, ইস্তাম্বুলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় তাদের প্রধান অগ্রাধিকার হলো যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা, যদিও এটি সম্ভব কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

রাশিয়া চায়, ন্যাটোতে যোগ না দিয়ে নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করুক ইউক্রেন। তবে এ ক্ষেত্রে আপোষ করতে রাজি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।

এ ছাড়া ইউক্রেন থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিষয়ও আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এর আগেও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিত সাভাসগলুর মধ্যস্থতায় আনাতোলিয়ায় এক দফা আলোচনা হয়ে গেছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার। যুদ্ধ শুরুর পর সেই আলোচনাই ছিল দুই দেশের প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। তবে সে বৈঠকেও যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা যায়নি।

এবার গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের আমন্ত্রণে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা।

তুরস্কের সঙ্গে ইউক্রেনের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আবার ন্যাটোভুক্ত দেশ হয়েও রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক বেশ ভালো। পশ্চিমারা যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, তুরস্ককে এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর