ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার সামরিক অভিযান। পাল্টা প্রতিরোধ করছে ইউক্রেনীয় সেনারা। রাজধানী কিয়েভসহ মারিওপোল, খারকিভ, সুমির মতো ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলোতে লড়ছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনারা।
এরই মধ্যে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধের ময়দানে লড়ছে চেচেন যোদ্ধারা। বিদেশি যোদ্ধাদের রাশিয়ার হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের বরাতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে লড়বে রাশিয়ার প্রাইভেট মিলিটারি প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার।
এরই মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তারা ধারণা করছে, প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ নেতাসহ ১ হাজারের বেশি যোদ্ধা সম্মুখযুদ্ধে লড়বে।
গত সপ্তাহে পেন্টাগন থেকে সতর্ক করা ওয়াগনার গ্রুপ ইউক্রেনে তাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে।
ওয়াগনার গ্রুপ মূলত রাশিয়ার একটি প্রাইভেট মিলিটারি প্রতিষ্ঠান। রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে যেকোনো প্রয়োজনে এরা একসঙ্গে কাজ করেছে। তবে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠানটি বৈশ্বিকভাবে আলোচনায় আসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ডনবাসের হয়ে লড়াইয়ের সময়। এ ছাড়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের হয়ে যুদ্ধ করেছে। রুশ স্বার্থে লড়েছে লিবিয়াতেও।
এদিকে ইউক্রেনীয় সেনাদের দাবি, এরই মধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে রাশিয়া। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও ১ হাজার ৩৫১ জন সেনা নিহত ও ৩ হাজার ৮০০ সেনার বেশি আহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিলেও প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে দাবি ইউক্রেনের।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।