অ্যাকাডেমি পুরস্কার বা অস্কার হলো অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের দেয়া একটি বার্ষিক পুরস্কার। চলচ্চিত্র অঙ্গনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অস্কারকে ধরা হয় সর্বোচ্চ স্বীকৃতি।
১৯২৯ সালের ১৬ মে রুজভেল্ট হোটেলে এ পুরস্কারের প্রথম আয়োজন হয়। এরপর ৯৩ বছরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছেন অনেকেই।
তবে এই ৯৪ বছরে এমন একজন অস্কার জিতেছেন যার নিজের নামই অস্কার। আমেরিকার এই গীতিকারের পুরো নাম দ্বিতীয় অস্কার হ্যামারস্টেইন। দুবার মনোনয়ন পেয়ে একবারও নিরাশ হতে হয়নি তাকে। তিনি ছাড়া অস্কার নামে আর কেউ বিশ্ব চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ এই পুরস্কার জেতেননি।
আমেরিকার জেরোম কার্নের সুর করা গান ‘দ্য লাস্ট টাইম আই স প্যারিস’ গানের জন্য ১৯৪২ সালে প্রথমবার অস্কার জেতেন হ্যামারস্টেইন। ঠিক চার বছর পর ১৯৪৬ সালে আবারও অস্কার ঘরে তোলেন এই গুণী গীতিকার। ‘স্টেট ফেয়ার’ সিনেমায় ‘ইট মাইট অ্যাজ ওয়েল বি স্প্রিং’ গানটির জন্য এই সম্মানে ভূষিত হন হ্যামারস্টেইন।
সুরকার রিচার্ড রজার্সের সঙ্গে জুটি বেঁধে আরও বেশ কিছু কালজয়ী গানের গীতিকারও হ্যামারস্টেইন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ওকলাহোমা’, ‘ক্যারোজেল’, ‘সাউথ প্যাসিফিক, ‘দ্য কিং অ্যান্ড আই’ এবং ‘দ্য সাউন্ড অফ মিউজিক।'
৪০ বছরের কর্মজীবনে ৮৫০টির বেশি গানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন হ্যামারস্টেইন। গল্প, চরিত্র এবং বাদ্যযন্ত্রের সাহায্যে তিনি আমেরিকার সংগীতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান।
মজার বিষয় হলো, অফিশিয়াল অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস ডাটাবেস অনুসারে, অস্কার নামে আরও কয়েকজন এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে আছেন সাউন্ড ডিরেক্টর অস্কার লেজারস্ট্রম, অস্কার হোমোলকা, অস্কার মিলার্ড, অস্কার ব্রডনির মতো তারকারা। তবে তাদের কেউ শেষ পর্যন্ত জয় করতে পারেননি অস্কার।